গঠনবাদ | শিখনের গঠনবাদ তত্ত্ব | ভিগটস্কির শিখন মতবাদ | Constructivism in Bengali

Q: গঠনবাদ | শিখনের গঠনবাদ তত্ত্ব | ভিগটস্কির শিখন মতবাদ | Constructivism in Bengali

উত্তর:

গঠনবাদ (Constructivism)

গঠনবাদের প্রথম প্রবক্তা ছিলেন একজন ইতালীয় দার্শনিক জিয়ামবাটিস্তা ভিকো (1668-1744), যিনি জ্ঞানের একটি গঠনমূলক তত্ত্ব প্রস্তাব করেছিলেন, যেখানে তিনি জ্ঞানকে সম্পূর্ণরূপে মানব নির্মাণজাত পদার্থ হিসেবে বিবেচনা করেন।

গঠনবাদ (Constructivism)
গঠনবাদ (Constructivism)

শিক্ষাক্ষেত্রে গঠনবাদের প্রয়োজনীয়তা

১. শিখন একটি সক্রিয় প্রক্রিয়া। তাই শিখন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকবে।

২. গঠনবাদ অনুসারে শিক্ষণীয় বিষয়ের অর্থ গঠন বা তৈরি করার প্রক্রিয়াই হলো শিখন। যা মানসিকভাবে সংঘটিত হয়। তাই শিক্ষার্থীদেরকে তাদের নিজস্ব ধারণা তৈরি ও চিন্তার জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে কাজ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ দিতে হবে।

৩. শিখনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ভাষা। সুতরাং শিখনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে তার মাতৃভাষায় প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করা প্রয়োজনI

৪. শিখনের জন্য প্রয়োজন পূর্বজ্ঞান যার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী নতুন জ্ঞান আহরণ করবে। তাই শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় বিষয়বস্তু এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীর তার পূর্বজ্ঞানের ভিত্তিতে নতুন বিষয় শিখতে পারে।

৫. শিখন একটি সামাজিক এবং সামষ্টিক কার্যাবলি। আর এই কার্যাবলির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সামাজিক প্রেক্ষাপট, কথপোকথন বা ভাষা ও মিথষ্ক্রিয়া। এগুলোর মাধ্যমেই শিক্ষার্থীর জ্ঞানের বিকাশ ঘটে। সে কারণে শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য মিথষ্ক্রিয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষক, সহপাঠী, বন্ধু, পরিবার এবং আশপাশের ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা বা গুরুত্ব রয়েছে।

গঠনবাদী শিখন পদ্ধতি শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক। এই মতবাদে মুখস্থবিদ্যা এবং শিক্ষক নির্ভরতা পরিহার করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় পাঠদানে সমস্যাযুক্ত বিষয়বস্তু উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীর উদ্ভাবনী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে তাদের শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। ধারণা করা হয় যে, বাহ্যিক বলবর্ধনের চেয়ে অন্তস্থ বলবর্ধন প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করে শিখন প্রক্রিয়াকে পরিচালিত করলে শিখন কার্যকর হবে।

গঠনবাদের প্রকারভেদ (Constructivist Theory of Learning) : 

(1) জ্ঞানমূলক গঠনবাদ :

নাম থেকে স্পষ্ট যে এটি শিক্ষার্থীকে জ্ঞানের নির্মাতা হিসাবে বিবেচনা করে এবং শিক্ষার পৃথক দিকগুলিকে অগ্রাধিকার দেয়। শেখা এবং জ্ঞানীয় বিকাশ একটি পরীক্ষামূলকভাবে পৃথক ইন্দ্রিয় তৈরির সাথে জড়িত। এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল মহান মনস্তাত্ত্বিক পিয়াজের তত্ত্ব যাকে সাধারণত জিনগত জ্ঞানতত্ত্ব বলা হয়। পিয়াজে তার এই ধারণাটিকে কয়েকটি পরিভাষার মাধ্যমে ব্যবহার করেছেন। একজন ব্যক্তির নতুন জ্ঞানের নির্মাণের মূল উপাদানগুলির মধ্যে দুটি হল আত্তীয়করণ (Assimilation) এবং সংযােজন (Accomodation)। 

আত্তীয়করণ একজন ব্যক্তিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশে সাহায্য করে, যা একবার ভুল বােঝাবুঝি ছিল তা পুনর্বিবেচনা করে এবং কী গুরুত্বপূর্ণ তা মূল্যায়ন করে, শেষ পর্যন্ত তাদের ধারণাকে পরিবর্তন করে।

অন্যদিকে, সংযােজন বলতে নতুন অভিজ্ঞতাগুলিকে ইতিমধ্যে থাকা মানসিক ক্ষমতার মধ্যে অবস্থান দেওয়া কে বােঝায়।

সংগঠিতকরণ (Organization) : জ্ঞানের একক গুলির মধ্যে যে পারস্পরিক সংযােগ স্থাপনের প্রক্রিয়া তাকেই বলা হয়েছে সংগঠিতকরণ এর ফলে সরল চিন্তন প্রক্রিয়া থেকে আমরা ক্রমশ জটিল চিন্তার ক্ষমতা অর্জন করি। এখানে যে ধারণা গুলির কথা বলা হয় সেগুলি পারস্পরিক সম্পর্ক অনুধাবন করে পিয়াজের তত্ত্ব সম্বন্ধে জানার প্রক্রিয়া সংগঠিতকরণ এর একটি উদাহরণ।

স্কিমা (Schema) : সংগঠিতকরণ এর ফলে চিন্তন ও মানসিক সক্রিয়তার যেসব নির্মিত হয় তাকে বলা হয়েছে স্কিমা। স্কিমা হল এক প্রকার মানসিক প্রতিরূপ যা গঠন ও আচরণের সংগঠিত রূপ মাত্রা।

2) সামাজিক গঠনবাদ :

সামাজিক গঠনবাদ এই ধারণাকে কেন্দ্র করে যে সংস্কৃতি মনের একটি উপাদান এবং তাই বাস্তবতার নির্মাণ নির্ধারণ করে এমন কাঠামাের ব্যবস্থা করে। এই অর্থে কোন জ্ঞান নির্মাণ অসামাজিক বা অসাংস্কৃতিক নয়। এই সামাজিক দিকগুলির মধ্যে কিছু হল ভাষা, সংস্কৃতি, দৈনন্দিন অভ্যাস, বস্তুগত বস্তু, আন্তব্যক্তিক মিথস্ক্রিয়া। শিক্ষার্থী সামাজিক প্রেক্ষাপটে তার অভিজ্ঞতার প্রতিক্রিয়ায় অর্থ প্রয়ােগ করে এবং গঠন করে। চেতনা সামাজিকভাবে অবস্থিত এবং জ্ঞান নির্মাণ একটি পৃথক উদ্যোগের পরিবর্তে একটি সামাজিক কার্যকলাপ, ব্যক্তি এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে দ্বান্দ্বিক সম্পর্কের ফলাফল।

ভিগটস্কির শিখন মতবাদ (Vygotsky’s Learning Theory)

L. S. Vigotsky-র শিখন মতবাদটি ১৯২০ ও ১৯৩০ দশকের দিকে দিলেও পাশ্চাত্য বিশ্বে তাঁর মতবাদটি ১৯৫০ দশকে পরিচিতি লাভ করে। ভিগটস্কির শিখন মতবাদের মূল ধারণা হলো সামাজিক মিথস্ক্রিয়া (Social interaction) অর্থাৎ সমাজ ও সংস্কৃতির সাথে সক্রিয় মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুর জ্ঞানের কাঠামোতে পরিবর্তনের ফলে তার জ্ঞানমূলক বা বুদ্ধি বিকাশ ঘটে। ভিগটস্কি মনে করেন এই মিথষ্ক্রিয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হলো ভাষা। এছাড়া তিনি তাঁর ‘Thought and Language’ বইতে উল্লেখ করেছেন যে,শিশুর ধারণার বিকাশও তার ভাষার ওপর নির্ভরশীল। শিশু যখন ভাষা দিয়ে তার পর্যবেক্ষিত বস্তুটিকে বর্ণনা করতে পারে তখনই তার ধারণার বিকাশ ঘটে। ভিগটস্কির মতবাদের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-

1. More Knowledgeable Other (MKO)

2. Zone of Proximal Development (ZPD)

1. More Knowledgeable Other: এই ধারণাটি দ্বারা কোন কাজ, শিক্ষামূলক প্রক্রিয়া বা ধারণা গঠনের ক্ষেত্রে শিশু বা শিক্ষার্থীর চেয়ে অধিকতর ভালো ধারণা বা উচ্চতর যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের বুঝানো হয়, যাদের কাছ থেকে শিশু জ্ঞান লাভের সুযোগ পেয়ে থাকে। শিক্ষার ক্ষেত্রে শিশুর বাবা, মা, বড় ভাই বা বোন এবং শিক্ষক সবাইকে ভালো ধারণা বা উচ্চতর যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি বলা যেতে পারে, যাদের কাছ থেকে শিশু নতুন নতুন জ্ঞান বা তথ্য জানতে, বুঝতে ও শিখতে পারে।

2. Zone of Proximal Development: ভিগটস্কির মতে জ্ঞানমূলক বিকাশের ক্ষমতা একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত হয়ে থাকে, যাকে তিনি বলেছেন Zone of Proximal Development (ZPD)। এর অর্থ হলো শিশুর বিকাশ শুরু হতে থাকে যখন সে সামাজিক আচরণে সম্পৃক্ত হয় এবং এর পরিপূর্ণ বিকাশ নির্ভর করে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার ওপর। বিকাশের একটি পর্যায়ে গিয়ে শিশু স্থির হয়ে যায়। এ পর্যায়ে শিশুর একক প্রচেষ্টার চেয়ে সমবয়সীদের সহযোগিতা বা বড়দের নির্দেশনার মাধ্যমে তার জ্ঞান বিকাশ অনেক বেশি হয়। নিচের চিত্রটিতে বিষয়টি উপস্থাপন করা হলো – 

Zone of Proximal Development

ভিগটস্কির মতে, সামাজিকীকরণের মাধ্যমেই শিশুর সচেতনতার বিকাশ ঘটে। ভিগটস্কি জ্যা পিয়াজের মত জ্ঞানমূলক বিকাশ নিয়ে কথা বলেছেন। তবে তিনি যে বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন

সেগুলো হলো-

১. শিশুর জ্ঞানীয় বিকাশ কৃষ্টি (Culture) দ্বারা প্রবাহিত হয়। আর সে কারণে বিভিন্ন কৃষ্টিতে শিশুর জ্ঞান বিকাশের ক্ষেত্রে তারতম্য পরিলক্ষিত হয়।

২. বিভিন্ন সামাজিক উপাদান বিশেষ করে সামাজিক মিথষ্ক্রিয়ার (Social interaction) মাধ্যমে শিশুর জ্ঞানের বিকাশ ঘটে। এই সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার উৎস হলো Zone of Proximal Development (ZPD)-এ উল্লেখিত নির্দেশিত শিখন (Guided learning)।

৩. শিশু যে পরিবেশে বড় হয় সে পরিবেশ তার চিন্তাকে প্রভাবিত করে। অর্থাৎ সে কী চিন্তা করবে এবং কীভাবে চিন্তা করবে তা পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়I

৪. ভিগটস্কি ভাষার ওপর গুরুত্বরোপ করেছেন কারণ শিশুর জ্ঞানীয় বিকাশের ওপর

ভাষার ভূমিকা অত্যাধিক। তাঁর মতে জীবনের প্রারম্ভে শিশুর চিন্তা ও ভাষা পৃথক থাকলেও তিন বছর বয়সে এদু’টি বিষয়কে সমন্বিত করে শিশু কোনো কিছু করার বা শেখার চেষ্টা করে।

ভিগটস্কির বিকাশ মতবাদের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জ্ঞানের দৃঢ়িকরণ (Scaffolding)। জানা থেকে অজানার জগতে প্রবেশের জন্য শিক্ষার্থীদের কীভাবে পরিচালিত করা যায় তার দিকদর্শন রয়েছে দৃঢ়িকরণের ধারণার মধ্যে। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের কোনো জটিল বিষয় শিক্ষা দেওয়ার জন্য দৃঢ়িকরণ ধারণা প্রয়োগ করেন। দৃঢ়িকরণ ধারণা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বিষয় বোঝার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হলে বা বিষয়টি অনুধাবন করতে না পারলে শিক্ষক সহপাঠীদের মধ্য থেকে যে বিষয়টি ভালো জানে তাকে দিয়ে বিষয়টি শিখাতে পারেন। এর ফলে সমবয়সী হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ বা মিথস্ক্রিয়া সার্থক হয় এবং বিষয়টি সহজেই আয়ত্বের মধ্যে চলে আসে।

অন্যান্য কৌশলের পাশাপাশি দৃঢ়িকরণের জন্য Tharpe and Gallimore (১৯৮৮) উদ্ভাবিত নিচের ছয়টি পদক্ষেপ শিক্ষকরা অনুসরণ করতে পারেন।

১. মডেলিং: অর্থাৎ কী করতে হবে তা বলে বা করে দেখানো। এই পদ্ধতি শিশুর শিক্ষার জন্য অত্যন্ত সহায়ক।

২. পুরস্কার ও শাস্তির দক্ষ ব্যবস্থাপনা: কোনো পদক্ষেপ সম্পাদিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীকে উপযুক্ত বলবর্ধন প্রদান। বলবর্ধন শিক্ষার্থীকে একই কাজ বার বার করতে প্ররোচিত করে।

৩. কর্মদক্ষতার ফলাবর্তন প্রদান: সম্পাদিত কাজের যথাযথ ফলাবর্তন বা ফিডব্যাক প্রদান। নিজের কাজের সঠিকত্ব বা ত্রুটির মাত্রা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারলে শিশু পরবর্তী ধাপে তা শুধরে নিতে পারে।

৪. উপযুক্ত কর্ম সম্পাদনের নির্দেশনা: কোন কাজ কীভাবে সম্পাদিত হবে তার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া। প্রকৃত নির্দেশ পেলে শিশুর পক্ষে ZPD- এর একটি স্তর থেকে উন্নততর স্তরে যাওয়া সহজ হয়।

৫. প্রশ্নের যথাযথ উত্তর প্রদান: শিক্ষার্থীর মনে কোনো প্রশ্ন থাকলে তার উত্তর দেওয়া। ZPD- এর একটি স্তর থেকে অন্য স্তরে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীর মধ্যে নানবিধ প্রশ্নের সৃষ্টি হতে পারে, সেগুলোর উত্তর না পেলে এই স্তর উৎরানো যায় না।

৬. চূড়ান্ত জ্ঞানীয় কাঠামো প্রদান: কোন সমস্যার সমাধান যেহেতু অপরের সহায়তায় দলীয়ভাবে করা হয় তাই অর্জিত জ্ঞানের সঠিক কাঠামো সম্মিলিতভাবেই প্রস্তুত করা এই পর্যায়ের কাজ।

শিক্ষায় ভিগটস্কির মতবাদের ব্যবহার

শিক্ষার্থীরা কীভাবে শিখে তা একজন শিক্ষককে জানতে হবে। শিশুরা বিদ্যালয়ে প্রবেশের পূর্বেই কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করে। তবে শিক্ষার্থীরা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ বা সমাজ থেকে যে শিখন অভিজ্ঞতা বা ধারণা নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে সেগুলোকে পরবর্তীতে যাতে যৌক্তিকভাবে প্রতিস্থাপন করতে পারে সেদিকেই শিক্ষককে গুরুত্ব দিতে হবে। শ্রেণিকক্ষে ভিগটস্কির মতবাদ প্রয়োগের ক্ষেত্রে যে চারটি মূলনীতি কাজ করে সেগুলো হলো –

১. শিখন এবং বিকাশ হলো এক ধরণের সামাজিক সহযোগিতামূলক কার্যকলাপ ।

২. ZPD ধারণাটি শিক্ষাক্রম ও পাঠটীকা প্রণয়নের নিদের্শক হিসেবে কাজ করে থাকে।

৩. বিদ্যালয়ের শিখন একটি অর্থপূর্ণ প্রেক্ষিতে সংগঠিত হওয়া উচিত। বাস্তব জগত থেকে শিশুর যে শিখন ও জ্ঞানের বিকাশ হয় তা থেকে বিদ্যালয়ের শিখন পৃথক হবে না।

৪. বিদ্যালয়ের বাইরে থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতাসমূহ শিশুর বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতার সাথে সম্পর্কিত হতে হবে।

আরো পড়ুন

প্রকৃতিবাদ কাকে বলে | শিক্ষাক্ষেত্রে প্রকৃতিবাদী দর্শনের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করো

গেস্টাল্ট মতবাদ কি | গেস্টাল্ট মতবাদের মূল সূত্র বা নীতি

প্রয়ােগবাদ (Pragmatism) কি | প্রয়ােগবাদী দর্শনের মূলনীতি | শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োগবাদের প্রভাব

ভাববাদ (Idealism) কি | ভাববাদ সম্পর্কে দার্শনিকদের মতামত | ভাববাদ ও শিক্ষার লক্ষ্য, পাঠক্রম, পদ্ধতি

ব্যক্তিত্ব কি | ব্যক্তিত্বের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য | Definition and Characteristics of Personality in Bengali

মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের বা মুদালিয়ার কমিশনের ত্রুটি গুলি কি কি

লর্ড কার্জনের শিক্ষানীতি | Lord Curzon-Educational Policy in Bengali

শিক্ষণ কি | শিক্ষনের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য | What is Teaching | Nature and Characteristics of Teaching

ব্যতিক্রমধর্মী শিশু | ব্যতিক্রমধর্মী শিশুর সংজ্ঞা ও শ্রেণিকরণ | বিশেষ শিক্ষা | Special Education in Bengali

Leave a Comment

error: Content is protected !!