Q: অধিবিদ্যা কি | এরিস্টটলের অধিবিদ্যা | দার্শনিক আলোচনায় অধিবিদ্যা | Metaphysics in Bengali
Q: অধিবিদ্যা কাকে বলে
Q: অধিবিদ্যা বলতে কি বোঝায়
Q: অধিবিদ্যা অর্থ কি
Q: এরিস্টটলের অধিবিদ্যা
Q: অধিবিদ্যা স্বরূপ আলোচনা করো
Q: অধিবিদ্যা কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে
উত্তর:
অধিবিদ্যা কি ?
অধিবিদ্যা বা Metaphysics হল দর্শনের এমন একটি আলোচনা ক্ষেত্র যার মূল আলোচ্য বিষয় হল অস্তিত্বের প্রকৃতি, সত্ত্বা এবং জগৎ কে অনুশীলন করা। তবে, দার্শনিকদের মতে দর্শনের প্রকৃত ভিত্তিই হল অধিবিদ্যা বা Metaphysics। অধিবিদ্যার গুরুত্ব আলোচনা প্রসঙ্গে দার্শনিক অ্যারিস্টটল উল্লেখ করেছিলেন যে, পৃথিবীর সকল কার্যের এটি হল প্রথম কারণ বা First Cause, জগতের সকল বস্তুর প্রথম নীতি বা Principle of things।
এই অধিবিদ্যার আলোচনায় বলা হয় যে, – বাস্তবের প্রকৃতি কি? জগতেরই বা অস্তিত্ব কি?, জগৎ কিভাবে ও কোথা থেকে সৃষ্টি হয়েছে?, মনো জগতের বাইরের জগতের প্রকৃতিই বা কি?, মনের সাথে ব্যাবহারিক জগতের সম্পর্ক কি?, ঈশ্বর কি আছেন? ঈশ্বর এক না বহু? – প্রভৃতি।
ইংরেজী Metaphysics শব্দটি গ্রীক “Metaphysika” শব্দ থেকে সৃষ্টি হয়েছে বলে দার্শনিকগন দাবি করেন। যার আক্ষরিক অর্থ হল Physics বা ভৌতবিদ্যার পরের বিদ্যা।
অর্থাৎ, ভৌতবিদ্যার অনুশীলন যেখানে সমাপ্ত হয় সেখান থেকে অধিবিদ্যার অনুশীলনের সুচনা হয়, যে প্রশ্নের উত্তর ভৌতবিদ্যার দ্বারা সম্ভব নয়, সেই সকল প্রশ্নের উত্তর অধিবিদ্যা প্রদান করে বলে দার্শনিকরা দাবী করেন।
অ্যারিষ্টটল প্রদত্ত অধিবিদ্যার বিভাগীকরণ (Classification of Metaphysics by Aristotle) :
অধিবিদ্যার আলোচনাকে অ্যারিষ্টটল তিন ভাগে বিভাজিত করে আলোচনা করেছেন। সেগুলি হল –
A. Ontology : Ontology হল অধিবিদ্যার এমন এক অনুশীলন পদ্ধতি যার আলোচ্য বিষয় হল সত্ত্বা বা Being, অস্তিত্ব বা Existence। অস্তিত্ব বিষয়ক নির্ধারকের নির্দিষ্টকরণ ও বিভাগীকরণ, ভৌত ও মানসিক অবস্থার প্রকৃতি এবং পরিবর্তনের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে থাকে।
B. Natural Theology : এর আলোচ্য বিষয় হল ঈশ্বর কি?, ধর্মের প্রকৃতি কি?, ধর্মের সাথে জগতের সম্পর্ক কি?, শাশ্বত সত্তা ও দৈবিক সত্তা কি?, সৃষ্টি সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর অন্বেষণ প্রভৃতি। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের ধর্মীয় বিষয় ও আধ্যাত্মিক বিষয়কে নিয়ে এখানে আলোচনা হয়ে থাকে।
C. Universal Science : এই অনুশীলন ক্ষেত্রের আলোচ্য বিষয় হল যুক্তি ও তর্কের নীতিগুলিকে নিয়ে অনুশিলন করা। এমন একটি হল Law of Noncontradiction। অর্থাৎ বাস্তবতার অনুশীলনে বা সত্ত্বা ও অস্তিত্বের প্রকৃত স্বরূপ উদ্ঘাটনে এই অনুশীলন ক্ষেত্রের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
অধিবিদ্যার দৃষ্টিতে অস্তিত্ব (Metaphysical Concept on Existence) কি?
যে ঘটনা বা অবস্থা যে কোনো প্রকৃত সত্ত্বার নিরবিচ্ছিন্ন অনুশীলনে সহায্য করে তাকেই সাধারনভাবে দর্শনে অস্তিত্ব বা Existence বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
অস্তিত্ব হল একটি প্রশ্নাতীত বা Axiomatic বিষয় যা প্রমাণের ক্ষেত্রে যথার্থ অন্য কোনো বিষয় ও যুক্তির প্রয়োজনীয়তা হয় না, কারন এটা সকল প্রকারের যথার্থ জ্ঞানের ক্ষেত্রেই প্রয়োজন বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। যে কোন অস্তিত্ব বিষয়ক অনুশীলনে Axiom -এর প্রয়োজনীয়তা হয়ে থাকে যা দাবি করে যে, এই অস্তিত্বের ক্ষেত্রে এমন কিছু নেই যার সম্পর্কে কোনোভাবে বিরোধিতা করা যায়।
চেতনা ও অস্তিত্বের মধ্যে সম্পর্ক :
চেতনা দ্বারা অস্তিত্বের প্রকৃত স্বরুপ উদ্ঘাটন হয়ে থাকে বা অনুমদিত হয়ে থাকে। ‘Rene Descartes’ চেতনাকে একটি প্রশ্নাতীত বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন যা মানসিক ক্ষেত্রের বস্তুর অস্তিত্বকে নির্দিষ্ট করতে সাহায্য করে থাকে। চেতনা ও অস্তিত্বের মধ্যের সম্পর্কটিকে উল্লেখ করতে গিয়ে Descartes বলেছেন যে, অস্তিত্ব হল একটি মৌলিক বিষয় এবং চেতনা হল একটি গৌন বিষয়, কিন্তু অস্তিত্বের বিষয়টিকে বিশেষিত করতে চেতনার উল্লেখ প্রয়োজন।
অস্তিত্ব একটি স্বাধীন বিষয় হওয়া সত্ত্বেও চেতন অনুমোদন একটি পূর্ব প্রয়োজনীয় শর্ত, তবে বাস্তবিকতার নির্ধারক হিসেবে চেতনার মূখ্য ভূমিকা নেই। এক্ষেত্রে চেতনা বাস্তবিকতার উপর নির্ভরশীল।
Cosmology :
Cosmology হল অধিবিদ্যার একটি অপরিহার্য অনুশীলন ক্ষেত্র যার মূল আলোচ্য বিষয় হল ঈশ্বর ও জগৎ এবং সময় ও ক্ষেত্রের সমগ্রিকতাকে উল্লেখ করা।
Cosmogony :
Cosmogony হল অধিবিদ্যার আরও একটি অপরিহার্য অনুশীলন ক্ষেত্র যার মূল আলোচ্য বিষয় হল এই জগতের উৎপত্তি। জগৎ উৎপত্তির বিষয়টি দার্শনিক অনুশীলনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে।
যেসকল দার্শনিক আলোচনায় অধিবিদ্যার অনুশীলন স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায় সেগুলি হল –
I. Agnosticism : এই মতবাদটি ঐশ্বরিক বা দৈবিক কোনো সত্ত্বা আছে কি না তা বৈজ্ঞানিকভাবে অনুশীলনের কথা বলে থাকে বা গুরুত্ব দিয়ে থাকে। অর্থাৎ এই মতবাদ বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর আছে কি নেই এই বিষয়টিকে বৈজ্ঞানিকভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন। আরও এই মতবাদটি বিশ্বাস করে যে, বস্তুগত জগতের উর্দ্ধেও অন্য কোন জগৎ বর্তমান আছে কি না তা দার্শনিকভাবে যাচাই করা। এই মতবাদ অনুসারে দৈবিক সত্ত্বা বা অতিপ্রাকৃতিক শক্তির উৎসকে অনুশীলন করা হয় তা জ্ঞাত বা অজ্ঞাত উভয়ই হতে পারে। তবে আবার কিছু দার্শনিক মনে করেন যে, ঈশ্বরকে জানা কি অসম্ভব? তা অনুশীলন করা।
II. Atheism : এই মাতবাদটি বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর বা দৈবিক কোন সত্ত্বার কোনো অস্তিত্ব আছে কি না সেই সম্পর্কিত বিশ্বাসগত অসম্পূর্ণতাকে বা অভাবকে উল্লেখ করে থাকে। ঈশ্বরের উপস্থিতি বিষয়ক বিরোধিতা বা ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে না, ঈশ্বর সম্পর্কিত বিশ্বাসের অভাবের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বিশ্বাসের অভাবের জন্য ঐশ্বরিক সত্ত্বার অস্তিত্বকে কখনো বা অস্বীকার করা হয়।
III. Atomism : এই মতবাদে জগতের অস্তিত্ব বিষয়ক অণু বা Atom এর কথা বলা হয়েছে। পৃথিবীর যে কোন বাস্তবিক অবস্থার মুখ্য ও প্রধান নির্ধারক হল অণু। এই মতবাদ অনুসারে পৃথিবীর বাস্তবিকতার প্রধান ও মূখ্য নির্ধারক হল অণু। অস্তিত্বের বা বাস্তবিকতার অনুশীলন প্রসঙ্গে অণুর বা Atom এর গুরত্বের কথা এই মতবাদে বর্ণীত রয়েছে।
IV. Deism : এই শব্দটির উৎপত্তিগত অর্থ হল ঈশ্বর। এই মতবাদ বিশ্বাস করে যে এই পৃথিবীই ঈশ্বর সৃষ্ট একটি বিষয়, ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে, ঈশ্বর নিজের দ্বারা সৃষ্ট পৃথিবীর ক্রিয়ায় কোনো প্রকারের হস্তক্ষেপ করে না। অর্থাৎ ঈশ্বর আছেন, তিনি জগৎ সৃষ্টি করেছেন, তিনি জগতের ক্রিয়ায় কোনো প্রকারের হস্তক্ষেপ করেন না – এইরুপ বিশ্বাস পোষনকারী দর্শন Deism নামে পরিচিত।
V. Determinism : Determinism – হল এমন একটি দার্শনিক তত্ত্ব যা পৃথিবীর সকল বিষয়ের কারন পূর্বে থেকে বর্তমান থাকে বা নির্ধারিত হয়ে থাকে৷ এমনকি যে কোনো নৈতিক বিষয়ের ক্ষেত্রেও এই পূর্ব নির্ধারিত বিষয়টির অস্তিত্ব বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। জগতের সৃষ্টির কারন আগে থেকেই বর্তমান থাকে।
VI. Dualism : এই মতবাদে মন ও বস্তুর মধ্যে বর্তমান থাকা সম্পর্কের বিষয় টিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যেমন – দেহ ও মানের সম্পর্ককে এই মতবাদে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে দেহ কে বস্তু জগতের একটি বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
VII. Essentialism : এই মতবাদটি বিশ্বাস করে যে, প্রত্যেকটি বস্তুই অসংখ্য গুণ বা উপাদানের সমন্নয়নে গঠিত। তাই, যে কোনো বস্তু সম্পর্কিত ধারনা গঠন করতে হলে আবশ্যিকরূপে সেই সকল গুণ বা উপাদানের বিশ্লেষণ প্রয়োজন।
VIII. Existentialism : এই মতবাদটি বিশ্বাস করে যে, মানুষ স্বাধীনভাবে যখন নিজের পছন্দমত কর্মে ক্রিয়াশীল হয়, তখন নিজের সত্ত্বার ক্রিয়াশীলতার জন্য ব্যাক্তি নিজের অস্তিত্ব নির্মানে সমর্থ হয়ে থাকে। অর্থাৎ সত্ত্বার স্বাধীন ক্রিয়াশীলতাই অস্তিত্বের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ন নির্ধারক।
IX. Fideism: এই মতবাদ অনুসারে বলা যায়, জগতের যে কোনো বিষয় সম্পর্কিত প্রকৃত সত্যের আঁধার নির্মাণের ক্ষেত্রে মানবীয় বিশ্বাসের গুরুত্ব স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়। যুক্তির প্রধান ও স্বাধীন নির্ধারক হিসেবে বিশ্বাসের গুরুত্ব অপরিসীম। এই মতবাদটি একটি জ্ঞানতাত্ত্বিক তত্ত্ব যেখানে যুক্তির বাস্তবিক স্বরূপ উদ্ঘাটনে মানবীয় বিশ্বাসের গুরুত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
X. Nihilism: এই মতবাদটি জীবনের অতি মূল্যবান কোন বিষয় আছে তা অস্বীকার করে থাকে। এই মতানুসারে, জীবনের কোন অন্তর্নিহীত বিষয় ভিত্তিক মূল্য আছে বলে মান্যত্য দেওয়া যায় না বা গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
XI. Objectivism : এই মতবাদ অনুসারে, বাস্তবিকতা চেতনার উর্দ্ধে বর্তমান থাকে যাকে স্বাধীন একটি সত্ত্বা বলা যায়। বাস্তবিকতার সাথে পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সন্নিকর্ষের ফলে যে সম্পর্ক রচিত হয় সেই সম্পর্ক নির্মাণের উপর ভিত্তি করে জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে থাকে।
XII. Panentheism : এই মতবাদটি বিশ্বাস করে যে, এই সমগ্র বিশ্ব চরাচরের প্রধান ও মূখ্য আত্মা হল ঈশ্বর। এই সার্বজনীন সত্ত্বা সর্বত্র বিরাজমান। আবার এই মতবাদে বিশ্বাস করা হয়েছে যে, ঈশ্বর হল এই জগৎ অপেক্ষা বৃহৎ বা শাশ্বত একটি সত্ত্বা ।
XIII. Pantheism : এই মতবাদে বিশ্বাস করা হয় যে, বাস্তবিকতা বা বাস্তব হল ঐশ্বরিক সত্ত্বার একটি প্রকাশমূলক বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ বাস্তবের চর্চার দ্বারা ঐশ্বরিক সত্ত্বার আবিষ্কার সম্ভব৷
XIV. Phenomenology : এই মতবাদে, চেতনা ও মানবীয় অভিজ্ঞতার দার্শনিক অনুশীলনের একটি প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চেতনার কাঠামোকে সুপরিকল্পিতভাবে অনুশীলনের কথা এই দার্শনিক মতবাদটি গুরুত্ব দিয়েছে।
XV. Pluralism : এই মতবাদটি জগতের অস্তিত্ব প্রসঙ্গে একক সত্ত্বা বা একক বিষয়ের গুরুত্বকে অস্বীকার করে বহুত্বকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। জগৎ সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গীর একক পন্থা অপেক্ষা বহুত্বের কথাকে স্বীকার করেছে।
XVI. Polytheism : এই মতবাদে বহু ঐশ্বরিক সত্ত্বার প্রতি বিশ্বাস ও পুজার্চনার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই তত্ত্বে বাস্তবের বিশ্লেষনে বহুত্ববাদী ঐশ্বরিক তত্ত্বকে গুরুত্ব দিয়েছে।
XVII. Reductionism : এই মতবাদানুসারে, প্রকৃতির সহজ ও মৌলিক
পরিবেশের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে – তা চর্চার দ্বারা সত্যের বাস্তবিক স্বরুপ উদ্ঘাটন করা যায়। এইভাবে সত্যানুসন্ধানের দর্শনিক অনুশীলন পদ্ধতিকে Reductionism বলে।
XVIII. Relativism : এই মতবাদ অনুসারে বলা হয় যে, জ্ঞান ও সত্যের প্রকৃত স্বরুপ সংস্কৃতি, সমাজ ও ঐতিহাসিক পরিমন্ডলের দ্বারা আপেক্ষিকরূপে প্রকাশিত হয়ে থাকে। এই মতবাদ অনুসারে শাশ্বত বলে কিছু নেই জগতের সবই সময় নির্ভর ও আপেক্ষিক।
XIX. Solipsism : জগৎ, বাস্তব, বিশ্ব ও শাশ্বত সত্ত্বার ব্যাখ্যা অন্য কোন বাহ্যিক ব্যক্তির ব্যাখ্যার দ্বারা সম্ভব নয়। সেই নির্দিষ্ট বিষয়ের ব্যাখ্যার জন্য আত্ম চর্যা প্রচেষ্টার দ্বারা সেই উদ্দেশ্যকে পুরন করা যায়। এই সম্পর্কিত মতবাদকে Solipsism বলে।
XX. Subjectivism : Subjectivism-হল এমন একটি মতবাদ যা দাবী করে যে, আমাদের অভিজ্ঞতার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন মানবীয় মানসিক ক্রিয়ার দ্বারা প্রশ্নাতীতভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
আরো পড়ুন
প্রকৃতিবাদ কাকে বলে | শিক্ষাক্ষেত্রে প্রকৃতিবাদী দর্শনের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করো
সনদ আইন (1813) | সনদ আইনের উদ্দেশ্য | সনদ আইনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শিক্ষা মনােবিজ্ঞানের প্রকৃতি আলোচনা করো | Nature of Educational Psychology in Bengali