বাংলা নাট্য সাহিত্যে মন্মথ রায়ের অবদান লেখ

Q: বাংলা নাট্য সাহিত্যে মন্মথ রায়ের অবদান লেখ
Q: মন্মথ রায়ের নাটক সমগ্র

উত্তর:

বাংলা নাট্য সাহিত্যে মন্মথ রায়ের অবদান

মন্মথ রায় (১৮৯৯-১৯৮৮) বাংলা নবনাট্য আন্দোলনের উজ্জ্বল পুরুষ। তাঁকে আধুনিক বাংলার শ্রেষ্ঠ নাট্যপুরুষ রূপে অভিহিত করা যায়। মন্মথ রায় চলমান জীবনধারার শিল্পী জীবনের জটিলতা এবং দ্বন্দ্বসংঘাতময় ভাবনা তাঁর নাটকে রূপ দিয়েছে। তিনি প্রগতিশীল নাট্যভাবনার শরিক। অর্থনৈতিক শোষণে ক্লিষ্ট, সামাজিক অত্যাচারে নিষ্পেষিত, রাজনৈতিক শাসনে জর্জরিত মানুষের ছবি এঁকেছেন তার বিভিন্ন নাটকে। অন্যদিকে মানবমনের গভীর রহস্য অনন্ত বিস্ময় সীমাহীন জটিলতার উন্মোচন তাঁর নাটকে পাওয়া পৌরাণিক, একাঙ্ক, ঐতিহাসিক, সামাজিক, দেশাত্মবোধক, জীবনী নাটক ইত্যাদি বিচিত্র ধরনের নাটক তিনি লিখেছেন।

বিষয়ভেদে মন্মথ রায়ের নাটকগুলোকে কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে আলোচনা করা যেতে পারে। 

১। পৌরাণিক নাটক :

মন্মথ রায়ের পৌরাণিক নাটক নিছক পুরাণের নাট্যভাষ্য নয়। তিনি নাটকীয় রস সৃষ্টির জন্য পৌরাণিক কাহিনির সঙ্গে কাল্পনিক কাহিনির যোগসাধন করেছেন।

চাঁদ সদাগর: মন্মথ রায়ের প্রথম পৌরাণিক নাটক ‘চাঁদ সদাগর’ (১৯২৭)। দেবী মনসার বিরুদ্ধে চাঁদ সদাগরের প্রবল প্রতাপ পৌরুষত্ব প্রতিজ্ঞাকে নাট্যকার বিশ শতকের পরাধীন ভারতবাসীর মনে বিদ্রহ সঞ্চারিত করেছেন। পরাধীন ভারতের যন্ত্রণাকে ফুটিয়ে তুলতে মন্মথ রায় ইতিহাস রসের পরিবর্তে পুরাণ রসকেই অবলম্বন করেছেন আলচ্য নাটকে।

দেবাসুর: ‘দেবাসুর’ (১৯২৮) নাটকে নাট্যকার পুরাণের মোড়কে ভারতবাসীকে স্বাধীনতার জন্য উজ্জীবিত করে তুলেছেন। বৃত্রাসুরের নিকট ইন্দ্রের পরাজয় বরণ অসুরদের স্বর্গরাজ্য অধিকার, দধীচির বৃত্রাসুরকে বধ করে স্বর্গরাজ্য জয় করার কাহিনিকে মন্মথ রায় রূপক হিসাবে ব্যবহার করে পরাধীন ভারতবাসীকে স্বর্গের ভারতবর্ষে পরিণত করতে চেয়েছেন।

কারাগার: এরপর তিনি রচনা করেন শ্রেষ্ঠ পৌরাণিক নাটক ‘কারাগার’ (১৯৩০)। ‘কারাগার’ নাটকে পরাধীন জাতির রাজনৈতিক অসহায়তার কথা পুরাণের কাহিনি ও চরিত্রের আধারে পরিবেশন হয়েছিল।   যদি কংস ইংরেজ রাজশক্তির প্রতীক হয়, কৃষ্ণের মধ্য দিয়ে তিনি নিশ্চিত গান্ধিজির কথা চিন্তা করেছিলেন। বাসুদেব, দেবকী প্রভৃতি চরিত্রকে নাট্যকার সেদিনের ভারতবাসীর প্রতিনিধি হিসাবেই উপস্থিত করেছেন। ‘কারাগার’ নাটকে সার্থক পৌরাণিক নাটকের সব গুণ থাকা সত্ত্বেও এই নাটককে দেশাত্মবোধক নাটক বলতে আমাদের কোনো সংশয় থাকে না।

এরপর ‘সাবিত্রী’ (১৯৩১), ‘খনা’ (১৯৩৫), ‘সতী’ (১৯৩৭) ইত্যাদি নাটকে পুরাণের অনুসরণ লক্ষ্য করা যায়।

২। ইতিহাসাশ্রয়ী নাটক :

পৌরাণিক নাটক রচনার মতো ইতিহাসাশ্রয়ী নাটক রচনাতেও মন্মথ রায়ের কৃতিত্ব অপরিসীম –

অশোক: ‘অশোক’ (১৯৩৩) নাটকে অশোক চরিত্রের বিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। মানবতা বিরোধী অশোক কীভাবে ধর্মীয় অশোকে পরিণত হল নাট্যকার আলোচ্য নাটকে তাই দেখিয়েছেন। অশোকের পরিবর্তনের মাধ্যমে পরাধীন ভারতবাসীর মানসিকতার পরিবর্তন সাধন করতে চেয়েছেন নাট্যকার।

মীরকাশিম: দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে ‘মীরকাশিম’ (১৯৩৮) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মীরকাশিমের ব্রিটিশ শক্তির বিরোধিতার মধ্য দিয়ে, মীরকাশিমের সংকল্পের মধ্য দিয়ে জাতীয় জীবনের সংকল্পকে নাট্যকার বড়ো করে তুলে ধরেছেন।

সাঁওতাল বিদ্রোহ: সাঁওতাল বিদ্রোহকে পটভূমি করে মন্মথ রায় ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’ (১৯৫৮) রচনা করেছেন। সাঁওতাল, পরগণা এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক এই নাটকের কাহিনি ও ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

অমৃত অতীত: অষ্টম শতকের গৌড়ের গোপালদেবকে কেন্দ্র করে রচনা করেন ‘অমৃত অতীত’ (১৯৫৯)। 

৩। সামাজিক নাটক:

মমতাময়ী হাসপাতাল: রাজনৈতিক এবং সামাজিক ভাবধারার পরিপ্রেক্ষিতে মন্মথ রায় প্রথম সামাজিক নাটক রচনা করেন ‘মমতাময়ী হাসপাতাল’ (১৯৫২)। কৌতুকময় পরিবেশে নাটকের সূচনা হলেও দ্বিতীয় অঙ্ক থেকে নাটকের ঘটনার পরিবর্তন হয়েছে। ষড়যন্ত্রের জাল কৌতকময় পরিবেশকে মুড়ে দিয়েছে। ভুজঙ্গের ষড়যন্ত্র ও দয়ালের উন্মাদনা এবং দুঃখ ভোগ নাটকের কাহিনি ও ঘটনায় জটিলতা সঞ্চার করেছে।

জীবনটাই নাটক (১৯৫৩): ‘জীবনটাই নাটক’ মঞ্চশিল্পীদের জীবনযাত্রা বর্ণিত হয়েছে। জীবন আর জীবনের অভিনয় করতে করতে ‘জীবনটাই নাটক’-এ পরিণত হয়। যে শিল্পীর অভিনয় দেখে আমরা মুগ্ধ হই, অথচ সেই শিল্পীকে অপরিসীম দুঃখ ভোগ করে জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করে যেতে হয়। মঞ্চশিল্পীর অন্তরালের শিল্পীদের জীবন সংগ্রাম এই নাটকে গুরুত্বলাভ করেছে। 

পথে-বিপথে: আধুনিক সমাজের পাশবিকতা, নগ্নতা, নিষ্ঠুরতা,ও স্বার্থপরতা নিয়ে রচিত হয়েছে ‘পথে বিপথে’ (১৯৫৩)। মানবিকতার ধ্বংস সাধন এবং মানুষের সত্যিকারের আনন্দকে হরণ করে নিতেই ব্যস্ত থাকে ‘আনন্দম ক্লাবে’। নামে ‘আনন্দম’ হলেও মানুষকে দুঃখ দেওয়াই এই ক্লাবের উদ্দেশ্য। জোচ্চোর ব্যবসায়ী মহিম, ঠকবাজ ঘটক, আধুনিক সমাজের সবরকম চরিত্রের উপস্থিতি ঘটেছে নাটকে।

ধর্মঘট: ‘ধর্মঘট’ (১৯৫৩) নাটকে এসেছে শ্রমিকদের অধিকার এবং শ্রমিকদের সমস্যার কথা। পুঁজিপতি সমাজে মালিক ও শ্রমিকের পারস্পরিক অবস্থান এবং মালিক ও শ্রমিকের দ্বন্দ্ব নাটকের অবলম্বিত বিষয় হয়েছে। মালিকদের ছল-চাতুরি শ্রমিকেরা একসময় ধরে ফেলে। হিন্দু ও মুসলমান শ্রমিকেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মালিকের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে সামিল হয় তারা।

‘চাষির প্রেম (১৯৫৩)’-এ জমিদারের অত্যাচার, মহাজনের নিষ্ঠুরতা এবং অভাব-অনটন ও হাজার রকমের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে চাষিকে বেঁচে থাকতে হয়।

‘লাঙল’ (১৯৫৫): নাটকে কৃষকদের ওপর শোষণ ও অত্যাচারের চিত্র এবং তার থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন আজব দেশ। 

‘আজব দেশ’ (১৯৫৩): পুঁজিপতি শোষণে একটি দেশ কীভাবে অন্ধকারে ডুবে থাকে তার চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে ‘আজব দেশ’ (১৯৫৩)-এ।

বন্দিতা: ‘বন্দিতা’ (১৯৫৯) নাটকে সমবায় আন্দোলনের সফলতা ও গুরুত্বের দিক নির্দেশিত হয়েছে যেমন, তেমনই আছে এক নারীর লাঞ্ছনা ও বন্দীত্বের জীবন।

জয় বাংলা: বিশ শতকের সত্তরের দশকের বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা নিয়ে রচিত হয়েছে ‘জয় বাংলা’ (১৯৭১)।

একাঙ্ক নাটক: মন্মথ রায় দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী একাঙ্ক নাটক রচনা করে শিল্প সার্থকভাবে মঞ্চে উপস্থাপন করেছেন। মন্মথ রায়ই বাংলা নাট্যধারায় প্রথম শিল্প সার্থক একাঙ্ক নাটকের জন্ম দিয়েছেন।

মুক্তির ডাক: তাঁর লেখা প্রথম একাঙ্ক নাটক হল ‘মুক্তির ডাক’ (১৯২৩)। নাটকের কাহিনি রচনায় নাট্যকার অতীতের অন্ধকারে বৌদ্ধজগতে বিচরণ করেছেন। লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে দয়া, করুণা ও ভালোবাসাই যে মুক্তির একমাত্র পথ, নাটকের চারটি চরিত্রের পরিণতি দেখে আমরা সে শিক্ষাই লাভ করি। বাংলা বৌদ্ধ আখ্যায়িকাকে আধুনিক জীবনের উপযোগী করে নাট্যকার প্রকাশ করেন। 

একাঙ্কিকা: অখিল নিয়োগীর সম্পাদনায় ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে মন্মথ রায়ের একাঙ্ক নাটকের সংকলন ‘একাঙ্কিকা’ প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে আটটি একাঙ্ক নাটক স্থান পায়। সেগুলি হল ‘রাজপুরী’, ‘বহুরূপী’, ‘উইল’, ‘বিদ্যুৎপর্ণা’, ‘ স্মৃতির ছায়া,’ ‘উপাচার’, ‘পঞ্চভূত’, ‘মাতৃমূর্তি’। ‘একাঙ্কিকা’র উত্তেজনা, মানবহৃদয়ের বিচিত্র ক্রিয়াকলাপ যথাযথ ভাবে রূপায়িত হয়েছে।

রাজপুরী: ‘রাজপুরী’ (১৯২৫) বৌদ্ধ কাহিনিকে অবলম্বন করে রচিত হয়েছে। শাক্যবংশের রাজকন্যা ভেবে কৌশলরাজ যাকে বিবাহ করেছিলেন, সে আসলে দাসী কন্যা। ষোলো বছর পরে এই আসল পরিচয় জানা গেল। আর এই ষোলো বছর ধরে রাণী তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন। ‘যুবরাজ বিরুধক’ শাক্যমুনিকে হত্যার নির্দেশ দিলেও শেষপর্যন্ত তাঁকে মাতৃহত্যাকারী হতে হয়েছে। নাটকের শেষে রাণীর আত্মাহুতি ট্রাজিক রসের জন্ম দিয়েছে। 

লক্ষ্মীহারা: ‘লক্ষ্মীহারা’ নাটিকায় নারীর দুর্গতিকর চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে, পতিভক্তি মানে স্বামীর সেবাদাসী হওয়া, পতিভক্ত মানে স্বামীর লালসা পূরণ করা, এমন জীবন লক্ষ্মীহারা চাননি বলেই গণিকা জীবনকে বেছে নিয়েছেন। 

বিদ্যুৎপর্ণা: ‘বিদ্যুৎপর্ণা’ (১৯২৭) নাটিকায় দেখি এক পুরোহিত তাঁর আত্ম উদ্দেশ্য সাধনের জন্য শিশুবেলা থেকে এক বেদের কন্যাকে বিষপান করিয়ে বড়ো করে তোলেন। বৌদ্ধরাজাকে ধ্বংস করার কাজে তিনি বেদের কন্যাকে লাগাতে চান। এদিকে পুরোহিতের শিষ্য ইন্দ্রজিৎ ও বিদ্যুৎপর্ণা পরস্পর পরস্পরের প্রেমের বন্ধনে আবন্ধ হয়। বিশেষ একমুহূর্তে বিষকন্যার স্পর্শে পুরোহিত ধ্বংস হয়ে যান। নিজের প্রকৃত রূপ জানতে পেরে ইন্দ্রজিৎকে বাঁচাতে বিষকন্যা বিদ্যুৎপর্ণা নদীর জলে শেষপর্যন্ত জীবন বিসর্জন দেয়।

উইল: ‘উইল’ নাটিকায় মালিকের সঙ্গে নারী কুলীশ্রমিকদের মিলনে সেই নারীর গর্ভে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সেই কন্যার প্রতি স্নেহ বশত মালিক তাঁর সমস্ত সম্পত্তি মৃত্যুকালে কুলীদের নামে উইল করে দিয়ে মানবতার চরম প্রকাশ ঘটান। 

জীবনী নাটক: মন্মথ রায় বেশ কিছু স্মরণীয় মহামানবদের জীবন নিয়ে রচনা করেছেন জীবনী নাটক। রাশিয়ার কবিকে নিয়ে লিখেছেন ‘তারাস শেভচেঙ্কা’ (১৯৬৫)। লালন ফকিরকে নিয়ে রচনা করেছেন ‘লালন ফকির’ (১৯৭০)। মুজিবর রহমানকে নিয়ে লিখেছেন ‘আমি মুজিব নই’ (১৯৭১)। শরৎচন্দ্রকে নিয়ে রচনা করেছেন ‘শরৎ বিপ্লব’ (১৯৭৫), লেনিনকে নিয়ে লিখেছেন ‘এদেশের লেনিন’ (১৯৭৮) ইত্যাদি। 

নাট্য সাহিত্যে মন্মথ রায়ের গুরুত্ব:

বাংলা নাট্যসাহিত্যে মন্মথ রায়ের অপরিসীম গুরুত্ব আছে –

১। মন্মথ রায়ের সময় থেকেই বাংলা একাঙ্ক নাটকের জয়যাত্রা শুরু হয়। তাঁর বৌদ্ধ ও হিন্দু পুরাণকে অবলম্বন করে লেখা একাঙ্ক নাটকগুলো স্মরণীয় হয়ে আছে।

২। স্বদেশ প্রেম এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেরণা সঞ্চার তাঁর নাটকের প্রধান দুই উপাদান। তাঁর পৌরাণিক নাটকেও এসেছে স্বদেশপ্রেম এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা। রূপকের অন্তরালে বিরাজ করেছে বাঙালির জাতীয় ভাব উদ্দীপনা ৷

৩। তাঁর নাটকে আধুনিক সমস্যা এবং আধুনিক জীবনবোধের পরিচয় যথাযথভাবে লক্ষ্য করা যায়। 

৪। চরিত্র সৃষ্টিতে তিনি যেমন দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, তেমনই অসাধারণ সংলাপের জন্য তাঁর বেশিরভাগ নাটক জনপ্রিয় হয়েছে। তাঁর নাটকের কাব্যময় ভাষা দর্শকরা কখনও ভুলতে পারে না। 

৫। কল্লোল গোষ্ঠীর তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ নাট্যকার।

আরো পড়ুন

বাংলা কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান

বাংলা নাট্য সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করো

বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান আলোচনা করো

বাংলা নাট্য সাহিত্যে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান আলোচনা করো

বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

Leave a Comment

error: Content is protected !!