প্রেষণা চক্র কী | What is Motivation Cycle

Q: প্রেষণা চক্র কী | What is Motivation Cycle
Q: প্রেষণা চক্র কাকে বলে
Q: প্রেষণা চক্র কি
Q: প্রেষণা চক্র
Q: প্রেষণা চক্র কী
Q: প্রেষণা চক্রের ধাপ কি কি
Q: প্রেষণা চক্রের ধাপ কয়টি
Q: প্রেষণা চক্র বলতে কি বুঝায়
Q: প্রেষণা চক্র চিত্র
Q: প্রেষণা চক্রের ধাপ কয়টি ও কি কি

উত্তর:

প্রেষণা চক্র

চাহিদা, তাড়না, প্রবৃত্তি এবং প্রেষণা এগুলি সমজাতীয় প্রবণতা হলেও এক নয়। আমরা যখন কোন কিছুর অভাব বোধ করি তখন তাকে চাহিদা বলে। চাহিদা প্রত্যক্ষভাবে উদ্দেশ্য মুখি আচরণ সৃষ্টি করতে পারে না। ব্যক্তির ক্ষিদা পেলে বা তৃষ্ণা পেলে তার মধ্যে তারনা দেখা দেয়। তাড়নার ফলে ব্যক্তি নিজের অস্তিত্ব বোধ করে কিন্তু তাড়নার মধ্যে কোন উদ্দেশ্য থাকে না। আর প্রবৃত্তি হল একটি জন্মগত জটিল আচরণ। যার মধ্যে উদ্দেশ্যের বা লক্ষ্যের নিশ্চিত করার কোন ধারনা থাকে না। কিন্তু লক্ষ্য মুখী আচরণের জন্য দরকার প্রেষণা শক্তির। সুতরাং, এক কথায় বলা যায় প্রেষণা হল লক্ষ্যমুখী আচরণ সম্পাদনের প্রবণতা।

প্রেষণা চক্র

1) অভাববোধ বা চাহিদা :

প্রেষণা চক্রের প্রথম ধাপ হল অভাববোধ বা চাহিদা। নানা কারণে প্রাণীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অভাববোধ বা চাহিদা দেখা দিতে পারে। যেমন – দেহের কলা কোশে প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি দেখা দিলে তা থেকে শারীরিক প্রেষণার উন্মেষ ঘটে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ক্ষুধা তৃষ্ণা ইত্যাদি হল শারীরিক প্রেষণা।

বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অবস্থার কারণে ব্যক্তির মধ্যে অভাববোধ বা চাহিদা দেখা দিতে পারে। ব্যক্তির সুযোগ সুবিধা, ভোগবিলাসের জন্য প্রেষণার উন্মেষ ঘটেতে পারে।

যেমন – স্বীকৃতি, প্রভাব বিস্তার ইত্যাদি এই জাতীয় প্রেষণা।

2) তাড়না :

কোন কিছুর অভাববোধ বা চাহিদা থেকে প্রাণীর মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়। ওই অবস্থা প্রাণীকে অভাব পূরণের জন্য তাড়িত করে। অর্থাৎ, অভাবের তাড়নায় প্রাণী সক্রিয় হয়ে ওঠে। 

যেমন- কোন প্রাণীকে যদি দীর্ঘ সময় খেতে না দেওয়া হয়, তাহলে খিদার তাড়নায় প্রাণীটির মধ্যে অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং ওই

অবস্থা দূর করার জন্য খাদ্যের খোঁজে সক্রিয় হয়ে ওঠে।

3) সহায়ক বা যান্ত্রিক আচরণ :

লক্ষ্যবস্তু পাওয়ার জন্য প্রাণী যে সমস্ত আচরণ করে সেগুলিকে সহায়ক আচরণ বলে।

প্রাণী তার অস্থিরতা দূর করার জন্য কতগুলি বিশেষ আচরণ প্রদর্শন করে এই জাতীয়

আচরণকে সহায়ক আচরণ বলা হয়।

যেমন – ক্ষুধার্ত প্রাণী খাবার পেলে তা খাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রাণীর কর্মতৎপরতা হ্রাস পায়। এখানে খাবারের খোঁজে সক্রিয়তা হল যান্ত্রিক আচরণ।

4) লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য :

প্রেষণা চক্রের চতুর্থ বা শেষ ধাপ হল লক্ষ্য বস্তুতে উপনীত হওয়া। লক্ষ্যবস্তুতে উপনীত হতে পারলে প্রাণীর মধ্যে যে অস্থির অবস্থা তা দূর হয়, প্রাণী তৃপ্তি লাভ করে।

প্রত্যেকটি প্রাণীর জীবনে প্রেষণার চারটি স্তর পর্যায়ক্রমে উপস্থিত হয়। প্রেষণা মানুষের সকল প্রকার কাজের পিছনে শক্তি জোগায়। কর্মময় জগতে মানুষ যে বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করে তার পেছনে মানুষের চাহিদা থাকে। আর এই চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজন হয় প্রেষণার। একটি প্রেষণা শেষ হবার পরমুহূর্তে অপর একটি প্রেষণার সৃষ্টি হয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রাণীর জীবনে প্রেষণা চক্রাকারে আবর্তিত হতে থাকে।

আরো পড়ুন

প্রেষণা কি | প্রেষণার সংজ্ঞা দাও | প্রেষণার বৈশিষ্ট্য

বুদ্ধি কি | বুদ্ধির সংজ্ঞা দাও | বুদ্ধির কাজ কি | বুদ্ধির বৈশিষ্ট্য কি

শিক্ষন ও শিখনের মধ্যে পার্থক্য লেখো

শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করো

গিলফোর্ডের SOI মডেল বা বুদ্ধির ত্রিমাত্রিক তত্ত্ব

স্যাডলার কমিশন (Sadler Commission) | স্যাডলার কমিশনের সুপারিশ

Leave a Comment

error: Content is protected !!