প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, এই আর্টিকেলে আমরা Class 6 Bengali 1st Unit Test Question Paper 2024 নিয়ে আলোচনা করেছি। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে তোমরা যারা ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ছো তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ষষ্ঠ শ্রেনী বাংলা প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৪ -এর সিলেবাস, নম্বর বিভাজন এবং সাজেশন প্রস্তুত করা হয়েছে। আশা রাখছি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এটা অনেকটাই সাহায্য করবে। ধন্যবাদ
1st Unit Test Question Paper 2024
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন – 2024
ষষ্ঠ শ্রেনী
বিষয় – বাংলা
পূর্ণমান – ১৫ | সময় – ৩০ মিনিট
Class 6 Bengali 1st Unit Test Question Paper 2024 PDF
সিলেবাস :
সাহিত্যমেলা: ভরদুপুরে, সেনাপতি শংকর, পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়নতুলি, মন ভালো করা, পশু পাখির ভাষা, ঘাসফড়িং, কুমোরে-পোকার বাসাবাড়ি।
হ য ব র ল: ১ – ১৪ পৃষ্ঠা।
ভাষাচর্চা: বিসর্গ সন্ধি, শব্দের গঠন।
নম্বর বিভাজন :
MCQ (1 MARK) | SAQ (1 MARK) | 2 MARK | TOTAL | |
গদ্য | 1 × 1 = 1 | 1 × 1 = 1 | 1 × 2 = 2 | 4 |
কবিতা | 1 × 1 = 1 | 1 × 1 = 1 | 1 × 2 = 2 | 4 |
ব্যাকরণ | 1 × 2 = 2 | 1 × 3 = 3 | – | 5 |
সহায়ক পাঠ | – | 1 × 2 = 2 | – | 2 |
TOTAL | 4 | 7 | 4 | 15 |
সাজেশন :
১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো। 1×4=4
(ক) মাহুতের ভাষায় ‘মাইল’ কথার অর্থ (কাত হও/পিছনে যাও/বোসো /সাবধান)।
উত্তরঃ সাবধান
(খ) শংকরের স্বপ্নে বাতাসের রং – ( নীলচে / খয়েরি / সাদা / বর্ণহীন)।
উত্তরঃ নীলচে
(গ) ‘ঘাসফড়িং’ কবিতায় যে-ঋতুর কথা বলা হয়েছে—(গ্রীষ্ম/বর্ষা/ শরৎ/ শীত)।
উত্তরঃ বর্ষা
(ঘ) সন্ধির প্রকার—(দুই/তিন/চার/পাঁচ)।
উত্তরঃ তিন
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি)। 1×2=2
(ক) “আমি পশুর ভাষা বেশ বুঝি।”—“আমি” কে?
উত্তরঃ এখানে আমি বলতে বোঝানো হয়েছে ‘পশুপাখির ভাষা” গল্পে রিউবেন ক্যাস্টান সাহেবকে।
(খ) কুমোরে-পোকার একটি কুঠুরি তৈরি করতে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ কুমোরে পোকার একটি কুঠুরি তৈরি করতে দু’দিন সময় লাগে।
(গ) “এই খোলামেলা পৃথিবীই সবচেয়ে বড়ো বই।”—এ কথা কে বলেছে?
উত্তরঃ কথাটি বলেছে ‘শংকর সেনাপতি’ গল্পে প্রকৃতিবিজ্ঞানের মাস্টারমশায় বিভীষণ দাশ।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি)। 1×2=2
(ক) “পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি”–কবিতাটি কে বাংলায় অনুবাদ করেছেন?
উত্তরঃ সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(খ) “ও তো/ পথিকজনের ছাতা,”–‘ও’ বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ ‘ও’ বলতে বোঝানো হয়েছে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তির ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় অশথ গাছকে।
(গ) ‘মন-ভালো-করা’ কবিতায় উল্লেখিত রংগুলি কী কী?
উত্তরঃ ‘মন-ভালো-করা’ কবিতায় মোট চারটি রঙের কথা আছে। রংগুলি হল—নীল, লাল, হরিদ্রা ও সবুজাভ ।
৪. নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও। 2×1=2
(ক) “স্বপ্নে সে অনেক কিছু জানতে পেরেছে।”—কার স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে? স্বপ্ন দেখে সে কী জেনেছে ?
উত্তরঃ শংকর সেনাপতির স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে।
স্বপ্ন দেখে সে জানতে পেরেছে, স্বপ্নের বাতাসের রং নীলচে। বাড়ি- ঘরদোর খয়েরি রঙের। স্বপ্নে ধাক্কা বা গুঁতো খেলে কোনো ব্যথা লাগে না আর এই ব্যাপারটি যেন ঘোলপুকুরে ডুব দিয়ে মাটি তোলার পর ভেসে ওঠার মতো, আপসে জলে ভর দিয়ে আলতোভাবে ওঠা। জলের নীচে পোঁতা বাঁশে গা ঘষে গেলেও টের পাওয়া যায় না।
(খ) “এরা তো মানুষেরই জাতভাই।”–কাদের ‘মানুষের জাতভাই” বলা হয়েছে ? তা সত্ত্বেও মানুষের সঙ্গে তাদের কোন্ পার্থক্যের কথা পাঠ্যাংশে বলা হয়েছে, তা লেখো।
উত্তরঃ শিম্পাঞ্জি আর ওরাংকে ‘মানুষের জাতভাই’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
গোরিলাকেও এই পর্যায়ে ফেলা যায়।
‘মানুষের জাতভাই’ হওয়া সত্ত্বেও মানুষের সঙ্গে এদের কিছু পার্থক্য আছে। এরা কথা বলে না, কিন্তু মানুষ কথা বলতে সক্ষম। অর্থাৎ, এদের ভাষা নেই কিন্তু মানুষের আছে। এইসব জীবজন্তুর ভাষা নেই, কিন্তু ভাব আছে। ভালোবাসা, সহানুভূতি বোঝে বলে এরা সহজেই অন্যের সঙ্গে ভাব করতে পারে। মানুষ বিচক্ষণ, স্বার্থপর – তাই এরা বুঝেসুঝে ভাব করে। পশুদের মনের ভাব মুখে প্রকাশ পায়। কিন্তু মানুষের মুখভঙ্গি দেখে মনের ভাব বোঝার কোনো উপায় নেই।
৫. নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও। 2×1=2
(ক) “আমার ঘরের দরজা এখন সবুজে সবুজ।” কবির এমন অভিব্যক্তির কারণ কী? কবির সঙ্গে ঘাসফড়িং-এর নতুন আত্মীয়তা কীভাবে গড়ে উঠল ?
উত্তরঃ কোনো এক ঝিরঝিরে বৃষ্টির দিনে বৃষ্টিভেজা ঘাসে যখন কবি পা রেখেছেন, তখন তাঁর দৃষ্টিতে আসে এক সবুজ ঘাসফড়িং। ঘাসফড়িংটিও সম্ভবত কবির মতোই বৃষ্টিভেজা সবুজ ঘাসের স্পর্শে আমেজ নেওয়ার জন্য ঘাসে ঘাসে উড়ে বেড়াচ্ছিল। তাই প্রথম দেখাতেই কবির সঙ্গে তার আত্মীয়তা তথা বন্ধুত্বের সূচনা হয়েছিল। প্রকৃতির কোলে ঘাসফড়িংটিকে দেখে কবির মনে কৌতূহল আর ভালোলাগার সঞ্চার হয়েছিল। একইভাবে ঘাসফড়িংটিও আনন্দে তার সবুজ মাথা তুলে নানান খেলা দেখিয়ে কবিকে মুগ্ধ করতে চেয়েছিল।
(খ) বরফের দেশের পাইন গাছ, মরুভূমির পাম গাছের স্বপ্ন দেখে কেন?
উত্তরঃ বরফ-ঢাকা পাহাড়ি অঞ্চলে পাইন গাছ জন্মায়। সেখানে সূর্যের প্রচণ্ড দাবদাহ নেই। সে শীতে কষ্ট পায় ঠিকই কিন্তু গরমের দহন-যন্ত্রণা তাকে ভোগ করতে হয় না। অন্যদিকে, পাম গাছ মরুভূমির পাশে জন্মায়। সেখান থেকে ভেসে আসা তাপে সে অসহনীয় দহনজ্বালা সহ্য করে। তার এমন অবস্থার কথা ভেবেই পাইন তাই এই স্বপ্নই দ্যাখে যে, তারা উভয়েই সঙ্গীহীন আর প্রকৃতির নিয়মে পরস্পর ভিন্ন স্থানে অবস্থিত।
৬. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও। 1×3=3
(ক) সন্ধি বন্ধ করো (যে-কোনো একটি)
পুনঃ+বার / ভাঃ+কর।
উত্তরঃ পুনঃ+বার = পুনর্বার।
ভাঃ+কর = ভাস্কর।
(খ) সন্ধি বিচ্ছেদ করো (যে-কোনো একটি): নিরামিষ / চতুরঙ্গ।
উত্তরঃ নিরামিষ = নিঃ + আমিশ।
চতুরঙ্গ = চতুঃ + অঙ্গ।
(গ) বিসর্গ সন্ধির ফলে বিসর্গটি ‘ও’-তে রূপান্তরিত হয় এমন একটি
উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ মনঃ + রম = মনোরম।