We discussed here Leela’s Friend Bengali Meaning from English Textbook of Class 11 (West Bengal Board). First, we are going to discuss about the author and story with Bengali meaning. Then we will move into the Bengali Interpretation part of Leela’s Friend. For page-wise Bengali Translation you can view the Table Of Contents area. So, Let’s start.
Class 11 Prose (Lesson 1)
Leela’s Friend – R.K. Narayan
Leela’s Friend Bengali Meaning (লীলাজ ফ্রেন্ড বাংলা অনুবাদ)
About Author and Story
Rasipuram Krishnaswami lyer Narayanswami (1906-2001) is one of the most widely read Indian writers in English. His famous works include Swami and Friends(1935), The English Teacher (1945), The Guide (1958). Apart from novels, Narayan displayed versatility as an author in his essays, short stories, memoirs and travel books.
রাসিপুরম কৃষ্ণস্বামী আইয়ার নারায়ণস্বামী (১৯০৬-২০০১) হলেন সর্বাধিক পঠিত ভারতীয় ইংরেজি লেখকদের মধ্যে একজন। তাঁর বিখ্যাত রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে ‘স্বামী এন্ড ফ্রেন্ডস’ (১৯৩৫), ‘দ্য ইংলিশ টিচার’ (১৯৪৫), ‘দ্য গাইড ‘(১৯৫৮)। উপন্যাসগুলি ছাড়াও নারায়ণ তাঁর প্রবন্ধ, ছোট গল্প, স্মৃতিচারণ ও ভ্রমণ বইয়ের লেখক হিসাবে বৈচিত্র্য দেখিয়েছিলেন।
Leela’s Friend is taken from R.K. Narayan’s popular short story collection The Malgudi Days. The story explores the issues of the interaction between different social classes, friendship and trust, prejudice and exploitation.
‘লীলাজ ফ্রেন্ড’ বা ‘লীলার বন্ধু’ R.K নারায়ণের জনপ্রিয় ছোটগল্পের সংকলন ‘দ্য মালগুডি ডেজ’ থেকে নেওয়া হয়েছে। গল্পটি বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণীর মধ্যে মিথস্ক্রিয়া, বন্ধুত্ব এবং বিশ্বাস, কুসংস্কার এবং শোষণের বিষয়গুলি অনুসন্ধান করে।
Leela’s Friend Bengali Meaning (বাংলা অনুবাদ)
Page 1
Sidda was hanging about the gate at a moment when Mr Sivasanker was standing in the front veranda of his house, brooding over the servant problem.
মি. শিবশংকর যখন চাকরের ঝামেলা নিয়ে ভাবতে ভাবতে তার বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন, সেই মুহূর্তে সিদ্দা দরজার চারদিকে ঘুরঘুর করছিল।
“Sir, do you want a servant?” Sidda asked.
“মহাশয়, আপনার কি চাকর চাই?” সিদ্দা প্রশ্ন করল।
“Come in,” said Mr Sivasanker.As Sidda opened the gate and came in, Mr Sivasanker subjected him to a scrutiny and said to himself, “Doesn’t seem to be a bad sort …At any rate, the fellow looks tidy.”
“ভিতরে এসাে,” মি. শিবশংকর বললেন। সিদ্দা যেই দরজা খুলে ভেতরে ঢুকল অমনি মি. শিবশংকর তাকে খুঁটিয়ে দেখার পাত্র করে তুলে মনে মনে বললেন, “খারাপ গােছের ঠেকছে না তাে … যাই হােক, ব্যাটাকে পরিচ্ছন্ন দেখাচ্ছে।”
“Where were you before?” he asked. Sidda said, “In a bungalow there,” and indicated a vague somewhere, “in the doctor’s house.”
“আগে কোথায় ছিলে?” তিনি জিজ্ঞেস করলেন। সিদ্দা বলল, “ওখানকার এক বাংলােয়,” অনির্দিষ্ট কোনাে স্থান দেখিয়ে বলল, “ডাক্তারবাবুর বাড়িতে।”
“What is his name?” “I don’t know master,” Sidda said.”He lives near the market.” “Why did they send you away?”
“ওনার নাম কী?” “জানি না, বাবু, সিদ্দা বলল, “উনি বাজারটার কাছে থাকেন”। “ওনারা তােমাকে বিদায় করে দিলেন কেন?”
“They left the town, master,” Sidda said, giving the stock reply.
“ওনারা শহর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, বাবু,” সিদ্দার গলায় বাঁধাধরা জবাব।
Mr Sivasanker was unable to make up his mind.
মি. শিবশংকর মনস্থির করতে পারলেন না।
He called his wife.
তিনি স্ত্রীকে ডাকলেন।
She looked at Sidda and said, “He doesn’t seem to me worse than the others we have had.”
তিনি (স্ত্রী) সিদ্দার দিকে তাকিয়ে বললেন, “আর যারা আমাদের কাজে লেগেছিল তাদের চেয়ে আমার একে বেশি খারাপ মনে হচ্ছে না।”
Page 2
Leela, their five-year-old daughter, came out, looked at Sidda and gave a cry of joy. “Oh Father!” she said, “I like him. Don’t send him away. Let us keep him in our house.” And that decided it.
তাদের পাঁচ বছরের মেয়ে লীলা বেরিয়ে এসে সিদ্দার দিকে তাকিয়ে উল্লাসে চ্যাচালো। “ওঃ বাবা!” সে বলল “আমার ওকে পছন্দ। ওকে যেতে দিও না। আমরা ওকে আমাদের বাড়িতে রেখে দিই।” এবং তাতেই এটা ঠিক হয়ে গেল।
Sidda was given two meals a day and four rupees a month, in return for which he washed clothes, tended the garden, ran errands, chopped wood and looked after Leela.
সিদ্দার দিনে দুবেলা খাওয়া আর মাসে চার টাকা জুটত। তার বদলে সে কাপড় কাচত, বাগান পরিচর্যা করত, টুকিটাকি কাজে ছুটত, কাঠ কাটত আর লীলার দেখাশােনা করত।
“Sidda, come and play!” Leela would cry, and Sidda had to drop any work he might be doing and run to her, as she stood in the front garden with a red ball in her hand. His company made her supremely happy. She flung the ball at him and he flung it back. And then she said, “Now throw the ball into the sky.” Sidda clutched the ball, closed his eyes for a second and threw the ball up. When the ball came down again, he said, “Now this has touched the moon and come. You see here a little bit of the moon sticking.” Leela keenly examined the ball for traces of the moon and said, “I don’t see it.” “You must be very quick about it,” said Sidda, “because it will all evaporate and go back to the moon. Now hurry up…. ” He covered the ball tightly with his fingers and allowed her to peep through a little gap.
“সিদ্দা, খেলবে এসাে!”লীলা চেঁচিয়ে ডাকত, আর সিদ্দাকে হাতের কাজ ফেলে তার কাছে ছুটে যেতে হত; লীলা তখন হাতে একটা লাল বল নিয়ে সামনের বাগানটায় দাঁড়িয়ে থাকত। তার সাহচর্যে সে পরম তৃপ্তি পেত। সে সিদ্দাকে বল ছুঁড়ল আবার সেও পালটা ছুঁড়ে দিল। আর তখন সে বলল, “এবার আকাশে বলটা ছুঁড়ে দাও দেখি।” সিদ্দা বলটা চেপে ধরে এক সেকেন্ড দু-চোখ বন্ধ করল আর তারপর বলটা উপরে ছুঁড়ল। আবার যখন বলটা পড়ল তখন সে বলল, “এবার এটা চাঁদটাকে ছুঁয়ে এসেছে। তুমি দ্যাখাে এখানে গায়ে চাদের টুকরাে লেগে আছে।” লীলা চাদের চিহ্নগুলাে দেখতে আগ্রহ নিয়ে বলটাকে পরখ করে বলল, “আমি তা দেখতেই পাচ্ছি না।” “তােমায় এ বিষয়ে বেশ চটপটে হতেই হবে,” সিদ্দা বলল, “কেননা এটা সবটাই বাষ্পীভূত হয়ে চাদে ফিরে যাবে। এবার তাড়াতাড়ি করাে…” আঙুলগুলাে দিয়ে বলটা সে শক্ত করে চাপা দিয়ে একটা ছােট্ট ফাক দিয়ে তাকে উঁকি দিতে অনুমতি দিল।
“Ah yes,” said Leela. “I see the moon, but is the moon very wet?”
“এ্যা, হ্যা তাে,” লীলা বলল। “চাঁদটাকে দেখছি, তবে চাঁদ কি খুব ভিজে?”
“Certainly it is,” Sidda said. “What is in the sky, Sidda?” “God,” he said. “If we stand on the roof and stretch our arms, can we touch the sky?”
“অবশ্যই তাই” সিদ্দা বলল। “আকাশে কী থাকে, সিদ্দা?” “ভগবান,” সে বলল। “ছাদে দাঁড়িয়ে হাত বাড়ালে আমরা আকাশ ছুঁতে পারব কি?”
“Not if we stand on the roof here,” he said. “But if you stand on a coconut tree you can touch the sky.”
“এখানে ছাদে দাঁড়ালে নয়,” সে বলল, “তবে নারকেল গাছের উপর দাঁড়ালে তুমি আকাশ ছুঁতে পারবে।”
“Have you done it?” asked Leela. “Yes, many times,” said Sidda. “Whenever there is a big moon, I climb a coconut tree and touch it.”
“তুমি কি ছুঁয়ে দেখেছ?” লীলা প্রশ্ন করল। “হ্যা, অনেকবার,” সিদ্দা বলল। “যখনই একটা বড়াে চাঁদ ওঠে আমি নারকেল গাছে উঠে ওটাকে ছুঁয়ে ফেলি।”
“Does the moon know you?”
“চাদটা কি তােমাকে চেনে?”
“Yes, very well. Now come with me. I will show you something nice.”
“হ্যা, বেশ ভালােই। এখন আমার সঙ্গে এসাে। আমি তােমাকে সুন্দর কিছু দেখাব।”
They were standing near the rose plant. He said, pointing, “You see the moon there, don’t you?”
তারা গােলাপ গাছের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সে দিক নির্দেশ করে বলল, “তুমি চাদটাকে ওখানে দেখতে পাচ্ছ, তাই না?”
Page 3
“Yes.” “Now come with me,” he said, and took her to the backyard. He stopped near the well and pointed up. The moon was there, too. Leela clapped her hands and screamed in wonder, “’The moon here! It was there! How is it?”
“হ্যাঁ.” “এখন আমার সঙ্গে এসাে,”বলে সে তাকে পিছনের উঠোনে নিয়ে গেল। কুয়ােতলার কাছে এসে দাঁড়িয়ে সে উপর দিকে ইশারা করল। ওখানেও চাদ আছে। লীলা হাততালি দিয়ে সবিস্ময়ে তীক্ষ্ণ আওয়াজ করল, “চাঁদ এখানে! এটা তাে ওখানে ছিল! এটা কী করে হল?”
“I have asked it to follow us about.”
“আমি তাকে বলেছি যেখানেই যাই আমাদের পিছনে পিছনে যেতে।”
Leela ran in and told her mother, “Sidda knows the moon.”
লীলা দৌড়ে ভিতরে গিয়ে তার মাকে বলল, “সিদ্দা চাদকে চেনে।”
At dusk he carried her in and she held a class for him. She had a box filled with catalogues, illustrated books and stumps of pencils. It gave her great joy to play the teacher to Sidda. She made him squat on the floor with a pencil between his fingers and a catalogue in front of him. She had another pencil and a catalogue and commanded, “Now write.” And he had to try and copy whatever she wrote in the pages of her catalogue. She knew two or three letters of the alphabet and could draw a kind of cat and crow. But none of these could Sidda even remotely copy. She said, examining his effort “Is this how I have drawn the crow? Is this how I have drawn the B?” She pitied him, and redoubled her efforts to teach him. But that good fellow, though an adept at controlling the moon, was utterly incapable of plying the pencil. Consequently, it looked as though Leela would keep him there, pinned to his seat till his stiff, inflexible wrist cracked. He sought relief by saying, “I think your mother is calling you in to dinner.” Leela would drop the pencil and run out of the room, and the school hour would end.
সন্ধেবেলা সিদ্দা তাকে ভিতরে নিয়ে এল এবং সে সিদ্দার একটি ক্লাস নিল। তার কিছু বর্ণমালার বই, কিছু ছবির বই ও ফেলে দেওয়া পেনসিল ভরতি একটা বাক্স ছিল। সিদ্দার শিক্ষিকা হওয়ার খেলায় সে দেদার মজা পেত। সে দুই আঙুলের ফাঁকে পেনসিল চেপে ধরে আর সামনে একটা ক্যাটালগ রেখে তাকে মেঝেতে উবু হয়ে বসিয়ে রাখত। আর একটা পেনসিল আর ক্যাটালগ নিয়ে সে তাকে হুকুম করত, “এবার লেখাে।” সে তার ক্যাটালগের পাতায় পাতায় যাই লিখত তাই তাকে চেষ্টা চালিয়ে নকল করতে হত। বর্ণমালার দু-তিনটি বর্ণ তার জানা ছিল আর এক ধরনের বিড়াল আর কাকের মতাে কিছু একটা আঁকতে পারত সে। কিন্তু সিদ্দা সেসবের কোনােটিই এমন কী সামান্য মাত্রায়ও নকল করতে পারত না। তার চেষ্টা করে যাওয়া পরীক্ষা করে সে বলত, “আমি যেভাবে কাক এঁকেছি এটা কি তাই? আমি যেভাবে বি এঁকেছি এটা কি তাই?” সে তাকে করুণা করত এবং চারগুণ প্রচেষ্টা নিয়ে তাকে শেখাত। কিন্তু সেই ভালাে সঙ্গীটি চাদকে বাগে পেতে যত বড়াে কুশলীই হােক-না-কেন, পেনসিল চালনায় সে একেবারে অক্ষম ছিল। ফলত এমনটাই দেখাত যেন যতক্ষণ পর্যন্ত তার শক্ত অনমনীয় কবজিতে চিড় না ধরে ততক্ষণ লীলা তাকে সেখানে তার আসনের সঙ্গে পিন দিয়ে গেঁথে রাখত। সে স্বস্তি খুঁজত এই বলে যে, “আমার মনে হচ্ছে তােমার মা তােমাকে খেতে ডাকছেন।” লীলা পেনসিল ফেলে ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে যেত, আর স্কুল পর্বও চুকে যেত।
After dinner Leela ran to her bed.Sidda had to be ready with a story. He sat down on the floor near the bed and told incomparable stories of animals in the jungle, of gods in heaven, of magicians who could conjure up golden castles and fill them with little princesses and their pets ….
রাতের খাওয়া সেরে লীলা তার বিছানার দিকে ছুটত। সিদ্দাকেও গল্প নিয়ে তৈরি থাকতে হত। বিছানার কাছে মেঝের উপর বসে সে বলত অতুলনীয় সব গল্প : জঙ্গলের জানােয়ারদের, স্বর্গের দেবতাদের, জাদুকরদের যারা তাদের ভেলকি দিয়ে সােনার দুর্গ বানাতে আর সেগুলি ছােটো ছােটো রাজকুমারী ও তাদের পােষ্য জীবজন্তুতে ভরে দিতে পারত।
Day by day she clung closer to him. She insisted upon having his company all her waking hours. She was at his side when he was working in the garden or chopping wood, and accompanied him when he was sent on errands.
দিনে দিনে লীলা তার আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠল। সে তার বিনিদ্র সময়ের সারাক্ষণ সিদ্দার সঙ্গলাভের জেদ করত। বাগানে কাজ করার সময় বা কাঠ কাটার সময় সে তার পাশে থাকত এবং যখন টুকিটাকি কাজে তাকে পাঠানাে হত তখনও সে তার সঙ্গে যেত।
One evening he went out to buy sugar and Leela went with him. When they came home, Leela’s mother noticed that a gold chain Leela had been wearing was missing. “Where is your chain?” Leela looked into her shirt, searched and said, “I don’t know.” Her mother gave her a slap and said, “How many times have I told you to take it off and put it in the box?”
একদিন সন্ধেবেলা সে চিনি কিনতে গেল আর লীলাও তার সঙ্গে গেল। যখন তারা বাড়ি এল লীলার মা-র নজরে পড়ল লীলা গলায় যে। সােনার হারটি পরেছিল সেটা নেই। “তাের হার কই?” লীলা তার শার্ট খুঁজল, তল্লাশি চালাল আর বলল, “জানি না। তার মা তাকে একটা চড় কষিয়ে বললেন, “কতবার তােকে বলেছি না ওটা খুলে বাক্সে রেখে দিতে?”
Page 4
“Sidda! Sidda!” she shouted a moment later. As Sidda came in, Leela’s mother threw a glance at him and thought the fellow already looked queer. She asked him about the chain. His throat went dry. He blinked and answered that he did not know. She mentioned the police and shouted at him. She had to go back into the kitchen for a moment because she had left something in the oven. Leela followed her, whining “Give me some sugar, Mother, I am hungry.” When they came out again and called, “Sidda, Sidda!” there was no answer. Sidda had vanished into the night.
“সিদ্দা, সিদ্দা!” বলে মুহূর্ত পরেই তিনি চেঁচিয়ে উঠলেন। যেই সিদ্দা ভিতরে এল, লীলার মা তার দিকে এক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। ভাবলেন ছেলেটাকে এরই মধ্যে সন্দেহভাজন দেখাচ্ছে তিনি তাকে। চেনটার কথা জিজ্ঞাসা করলেন। তার গলা শুকিয়ে গেল। সে পিটপিট করে তাকিয়ে উত্তর দিল সে জানে না। তিনি পুলিশের কথা তুলে তাকে শাসালেন। মুহূর্তের জন্য তাকে রান্নাঘরে ফিরতে হল কেননা তিনি উনুনে কিছু চড়িয়ে এসেছিলেন। লীলা ঘ্যানঘ্যান করতে করতে তার। পিছু নিল, “মা, আমায় একটু চিনি দাও, আমার খিদে পেয়েছে। আবার যখন তারা বেরিয়ে এসে, “সিদ্দা, সিদ্দা” বলে ডাক পাড়লেন কোনাে সাড়া পেলেন না। সিদ্দা সেই রাতের অন্ধকারে মিলিয়ে গিয়েছিল।
Mr. Sivasanker came home an hour later, grew very excited over all this, went to the police station and lodged a complaint.
মি. শিবশংকর ঘণ্টাখানেক পরে বাড়ি এলেন, সব শুনে বেশ উত্তেজিত হয়ে, থানায় গিয়ে একটি অভিযােগ দায়ের করলেন।
After her meal Leela refused to go to bed. “I won’t sleep unless Sidda comes and tells me stories. I don’t like you, Mother. You are always abusing and worrying Sidda. Why are you so rough?”
খাওয়ার পর লীলা ঘুমােতে যেতে চাইল না। “সিদ্দা এসে আমায় গল্প না বললে আমি ঘুমােব না। মা, আমার তােমাকে ভালাে লাগে না। তুমি সিদ্দাকে সবসময় বকো আর জ্বালাতন করাে। তুমি এত কঠোর কেন?”
“But he has taken away your chain …. “ “Let him. It doesn’t matter. Tell me a story.”
“কিন্তু সে তাে তাের হারটা নিয়ে পালিয়েছে ….।” “পালাক। এটা কোনাে ব্যাপার নয়। আমাকে একটা গল্প বল।”
“Sleep, sleep,” said Mother, attempting to make her lie down on her lap.
“ঘুমােও, ঘুমােও,” মা তাকে কোলে শােয়ানাের চেষ্টা করে বললেন।
“Tell me a story, Mother,” Leela said. It was utterly impossible for her mother to think of a story now. Her mind was disturbed. The thought of Sidda made her panicky. The fellow, with his knowledge of the household, might come in at night and loot. She shuddered to think what a villain she had been harbouring all these days. It was God’s mercy that he hadn’t killed the child for the chain. “Sleep, Leela, sleep,” she cajoled. “Can’t you tell the story of the elephant?”
“আমাকে একটা গল্প বলো মা,” লীলা বলল। তখন তার মায়ের পক্ষে একটা গল্প ভাবা একেবারে অসম্ভব ছিল। তার মন তখন বিক্ষুব্ধ। সিদ্দার চিন্তায় তিনি আতঙ্কিত ছিলেন। ছেলেটার গৃহস্থালি জানা ছিল, তাই রাত্রে এসে লুটপাট করতে পারে। এতদিন তিনি কোনাে দুর্বত্তকে পুষছিলেন ভেবে তার গা শিউরে উঠল। হারটির জন্য সে যে তাঁর শিশুসন্তানকে মেরে ফেলেনি সেটা ঈশ্বরের দয়া …“ঘুমােও, লীলা, ঘুমোও,” তিনি মিষ্টি করে বললেন। “হাতের গল্পটা বলতে পারো না?”
Leela asked. “No.”
লীলা জানতে চাইল। “না।”
Leela made a noise of deprecation and asked, “Why should not Sidda sit in our chair, Mother?” Mother didn’t answer the question. Leela said a moment later, “Sidda is gone because he wouldn’t be allowed to sleep inside the house just as we do. Why should he always be made to sleep outside the house, Mother? I think he is angry with us, Mother.” By the time Sivasanker returned, Leela had fallen asleep. He said, “What a risk we took in engaging that fellow. It seems he is an old criminal. He has been in jail half a dozen times for stealing jewellery from children. From the description I gave, the inspector was able to identify him in a moment.”
লীলা বিরক্তির সঙ্গে চিৎকার করে জিজ্ঞাসা করল, “সিদ্দা আমাদের। চেয়ারে বসবে না কেন, মা?” মা প্রশ্নের জবাব দিলেন না। মুহুর্ত পরে লীলা বলল, “সিদ্দা চলে গিয়েছে কারণ আমরা যেমন বাড়ির ভিতরে ঘুমােই ওকে তা দেওয়া হত না। কেন ওকে সবসময় বাড়ির বাইরে ঘুমােতে হত, মা? আমার মনে হয় ও আমাদের উপর রাগ করেছে, মা।” ইতিমধ্যে শিবশংকর ফিরলেন, লীলা তখন ঘুমিয়ে পড়েছে। তিনি বললেন, “ওই ছেলেটাকে কাজে লাগিয়ে আমরা কী ঝুঁকিই নিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে ও একটা পুরােনাে অপরাধী। বাচ্চাদের গয়নাগাটি চুরির অপরাধে বার ছয়েক জেলে গিয়েছে। আমার দেওয়া বিবরণ থেকে ইনস্পেকটর ওকে মুহূর্তে শনাক্ত করতে পারলেন।
Page 5
“Where is he now?” asked the wife.
“ও এখন কোথায় আছে ?” স্ত্রী জানতে চাইলেন।
“The police know his haunts. They will pick him up very soon, don’t worry. The inspector was furious that I didn’t consult him before employing him ….”
“পুলিশ ওর ডেরাগুলাে জানে। খুব শিগগির ওরা ওকে তুলবে, দুশ্চিন্তা কোরাে না। ওকে কাজে নিয়ােগ করার আগে ইনস্পেকটরের সঙ্গে পরামর্শ করিনি বলে উনি বেজায় চটে আছেন …”
Four days later, just as Father was coming home from the office, a police inspector and a constable brought in Sidda. Sidda stood with bowed head. Leela was overjoyed. “Sidda! Sidda!” she cried, and ran down the steps to meet him.
চারদিন পর, বাবা অফিস থেকে ঠিক যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন একজন পুলিশ ইনস্পেকটর আর কনস্টেবল সিদ্দাকে নিয়ে এলেন। সিদ্দা মাথা নীচু করে দাঁড়িয়েছিল। লীলা আনন্দে উচ্ছসিত। “সিদ্দা, সিদ্দা!” বলে চেঁচিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেল।
“Don’t go near him,” the inspector said, stopping her.
“ওর কাছে যাবে না, তাকে বাধা দিয়ে ইনস্পেকটর বললেন।
“Why not?” “He is a thief. He has taken away your gold chain.”
“কেন যাব না?” “ও একটা চোর। ও তােমার সােনার হার চুরি করেছে।”
“Let him. I will have a new chain,” Leela said, and all of them laughed. And then Mr Sivasanker spoke to Sidda; and then his wife addressed him with a few words on his treachery. They then asked him where he had put the chain.
“নিতে দাও আমার একটা নতুন হার হবে।”লীলা বলল আর তারা সবাই হাে হাে করে হেসে উঠলেন। আর তখন মি. শিবশংকর সিদ্দার সঙ্গে কথা বললেন; আর তখন তার স্ত্রী তার নেমকহারামি নিয়ে তাকে দু-চার কথা শােনালেন। তারপর তারা তাকে প্রশ্ন করলেন যে হারটা কোথায় রেখেছে।
“I have not taken it,” Sidda said feebly, looking at the ground.
“আমি ওটা নিইনি,” কাতরস্বরে মাটির দিকে তাকিয়ে সিদ্দা বলল।
“Why did you run away without telling us?” asked Leela’s mother. There was no answer.
“আমাদের না বলে পালিয়েছিলে কেন?” লীলার মা জানতে চাইলেন। কোনাে উত্তর নেই।
Leela’s face became red. “Oh, policemen, leave him alone. I want to play with him.”
লীলার মুখ লাল হয়ে গেল। “এই পুলিশ, ওকে ছেড়ে দাও। আমি ওর সঙ্গে খেলতে চাই।”
“My dear child,” said the police inspector, “he is a thief.” “Let him be,” Leela replied haughtily. “What a devil you must be to steal a thing from such an innocent child!” remarked the inspector. “Even now it is not too late. Return it. I will let you go provided you promise not to do such a thing again.” Leela’s father and mother, too, joined in this appeal. Leela felt disgusted with the whole business and said, “Leave him alone, he hasn’t taken the chain.” “You are not at all a reliable prosecution witness, my child,” observed the inspector humorously.
“বাছা আমার”, পুলিশ ইনস্পেকটর বললেন, “ও একটা চোর।” “তা সে হােক,” লীলা মেজাজে উত্তর দিল। “কী শয়তান রে তুই এমন একটা নিস্পাপ শিশুর জিনিস চুরি হয়নি। ওটা ফিরিয়ে দে। তােকে ছেড়ে দেব যদি প্রতিজ্ঞা করিস আর কখনও এমন জিনিস করবি না।”লীলার বাবা-মাও এই আবেদনে গলা মেলালেন। লীলা গােটা কর্মকাণ্ডে বিরক্তবােধ করল আর বলল, “ওকে ছেড়ে দাও, ও হারটা নেয়নি।” “বাছা , তুমি একেবারেই বাদীপক্ষের নির্ভরযােগ্য সাক্ষী নও,” ইনস্পেকটর মজা করে মন্তব্য করলেন।
“No, he hasn’t taken it!” Leela screamed.
“না, ও এটা নেয়নি!”লীলা চেঁচিয়ে উঠল।
Her father said, “Baby, if you don’t behave, I will be very angry with you.”
তার বাবা বললেন, “বাছা, তুমি যদি সঠিক আচরণ না করাে আমি তােমার উপর খুব রাগ করব।”
Half an hour later, the inspector said to the constable, “Take him to the station. I think I shall have to sit with him tonight.” The constable took Sidda by the hand and turned to go. Leela ran behind them crying, “Don’t take him. Leave him here, leave him here.” She clung to Sidda’s hand. He looked at her mutely, like an animal. Mr Sivasanker carried Leela back into the house. Leela was in tears.
আধ ঘণ্টা পরে ইনস্পেকটর কনস্টেবলকে বললেন, “ওকে থানায় নিয়ে চলাে। ভাবছি আজ রাতে ওর সঙ্গে বসতে হবে।” কনস্টেবল সিদ্দার হাতটা ধরে যেতে উদ্যত হল। লীলা ছুটে ওদের পিছনে গিয়ে কেঁদে উঠল। “ওকে নিয়ে যেও না। ওকে এখানে ছেড়ে দাও, ওকে এখানে ছেড়ে দাও।” সে সিদ্দার হাতটা চেপে ধরল। সিদ্দা নীরবে তার দিকে একটা পশুর মতাে চেয়ে রইল। মি. শিবশংকর লীলাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। লীলার চোখ জলে ভেসে যাচ্ছিল।
Page 6
Every day when Mr Sivasanker came home he was asked by his wife,”Any news of the jewel?” and by his daughter, “Where is Sidda?”
প্রতিদিন যখন মি. শিবশংকর বাড়ি আসতেন তার স্ত্রী জানতে চাইতেন, “গয়নাটার কোনাে খবর আছে?” আর তার মেয়ে জানতে চাইত, “সিদ্দা কোথায়?
“They still have him in the lockup, though he is very stubborn and won’t say anything about the jewel,” said Mr Sivasanker.
মি. শিবশংকর বললেন, “ওরা তাকে এখনও জেলখানাতেই রেখেছে, যদিও সে প্রচণ্ড জেদি আর গয়নার ব্যাপারে কিছুই বলছে না।”
“Bah! What a rough fellow he must be!” said his wife with a shiver. “Oh, these fellows who have been in jail once or twice lose all fear. Nothing can make them confess.” A few days later, putting her hand into the tamarind pot in the kitchen, Leela’s mother picked up the chain. She took it to the tap and washed off the coating of tamarind on it. It was unmistakably Leela’s chain. When it was shown to her, Leela said, “Give it here. I want to wear the chain.”
“বাবা! সে সত্যিই একজন অতি খারাপ লােক!” তার স্ত্রী শিউরে উঠে বললেন। “ওঃ, এইসব লােক যারা দু-একবার জেলে গিয়েছে তাদের সব ভয় চলে যায়। কোনােভাবেই ওদের দিয়ে স্বীকার করানাে যায় না।” কয়েকদিন পরে রান্নাঘরে তেঁতুলের পাত্রে হাত দিয়ে লীলার মা হারটা তুলে আনলেন। তিনি সেটা কলে নিয়ে গিয়ে গায়ে লেগে থাকা তেঁতুলের আবরণ ধুয়ে ফেললেন। এটিই বিলক্ষণ লীলার হার। লীলাকে দেখাতে সে বলল, “এটা এখানে দাও। আমি হারটা পরে দেখতে চাই।”
“How did it get into the tamarind pot?” Mother asked.
“এটা কি করে তেঁতুল পাত্রে ঢুকল?” মা জানতে চাইলেন।
“Somehow,” replied Leela. “Did you put it in?” asked Mother.
“ঢুকেছে কোনােভাবে,” লীলা জবাব দিল। “তুই কি এটা এর ভিতরে রেখেছিলি?” মা জানতে চাইলেন।
“Yes.” “When?” “Long ago, the other day.” “Why didn’t you say so before?”
“হ্যা।” “কবে ?” “অনেকদিন আগে, কোনাে একদিন।” “আগে সেকথা বলিসনি কেন?”
“I don’t know,” said Leela.
“জানি না” লীলা বলল।
When Father came home and was told, he said, “The child must not have any chain hereafter. Didn’t I tell you that I saw her carrying it in her hand once or twice? She must have dropped it into the pot sometime … And all this bother on account of her.”
বাবা বাড়ি ফেরার পর তাকে জানানাে হলে তিনি বললেন, “বাচ্চার কাছে এরপর আর কোনাে চেন থাকবে না। আমি তােমায় বলিনি যে দু-একবার আমি এটা ওর হাতে দেখেছি? সে অবশ্যই কখনও এটা পাত্রে রেখে দিয়েছে … আর সব ঝামেলাই ওর (লীলা) কারণে হয়েছে।”
“What about Sidda?” asked Mother. “I will tell the inspector tomorrow …in any case, we couldn’t have kept a criminal like him in the house.”
“সিদ্দার কী হবে?” মা জিজ্ঞাসা করলেন। “আমি কাল ইনস্পেকটরকে বলব .. যাইহােক, কোনাে অবস্থাতেই আমরা বাড়িতে ওর মতাে অপরাধীকে রাখতে পারতাম না।”
আরো পড়ুন
Karma Bengali Meaning | Class 11 | West Bengal Board | কর্মা বাংলায় অনুবাদ