প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, এই পোস্টে আমরা Class 6 History 3rd Unit Test Question Paper 2022 নিয়ে আলোচনা করেছি। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে তোমরা যারা ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ছো তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ষষ্ঠ শ্রেনী ইতিহাস তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২২ (ফাইনাল পরীক্ষা) -এর নমুনা প্রশ্নপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি এই প্রশ্নপত্র টি তোমাদের ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অনেকটাই সাহায্য করবে। ধন্যবাদ
3rd Unit Test Question Paper 2022
তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন – ২০২২
ষষ্ঠ শ্রেনী
বিষয় – ইতিহাস
পূর্ণমান – ৭০ | সময় – ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
Class 6 History 3rd Unit Test Question Paper 2022 PDF
১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো। ১ x ১৪ = ১৪
(ক) গুপ্ত ও গুপ্ত পরবর্তী আমলে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে জমি দানকে বলা হতো— (কার্ষাপণ ব্যবস্থা/রূপক ব্যবস্থা/অগ্রহার ব্যবস্থা)।
উত্তরঃ অগ্রহার ব্যবস্থা
(খ) পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে হেয় করে দেখানো হয়েছে-(বৈশ্যদের/চণ্ডালদের/ক্ষত্রিয়দের)
উত্তরঃ বৈশ্যদের
(গ) পঞমহাব্রত প্রবর্তন করেন— (পার্শ্বনাথ/মহাবীর/গৌতমবুদ্ধ)।
উত্তরঃ মহাবীর
(ঘ) ঋগবেদে বর্ণ বলতে প্রথম দিকে বোঝাত- (নানা রং/গায়ের রং/অক্ষর)।
উত্তরঃ গায়ের রং
(ঙ) সমুদ্রযাত্রাকে পাপ হিসেবে দেখতেন- (ক্ষত্রিয়রা/ব্রাত্মণরা/বৈশ্যরা)।
উত্তরঃ ব্রাত্মণরা
(চ) ‘শকারি’ বলা হয়—
(দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তকে/প্রথম চন্দ্রগুপ্তকে/সমুদ্রগুপ্তকে)।
উত্তরঃ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তকে
(ছ) ‘ওয়াড়’ কথার মানে হল—
(গ্রাম/শহর/নদীতীরবর্তী এলাকা)।
উত্তরঃ শহর
(জ) গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রদেশগুলিকে বলা হত –
(আহার/রাজ্য/ভুক্তি)।
উত্তরঃ ভুক্তি
(ঝ) হর্ষবর্ধন রচিত নয়—
(মুদ্রারাক্ষস/রত্নাবলী/প্রিয়দর্শিকা)।
উত্তরঃ মুদ্রারাক্ষস
(ঞ) জীবক ছিলেন—
(চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজবৈদ্য/বিম্বিসারের রাজবৈদ্য/অশোকের রাজবৈদ্য)।
উত্তরঃ বিম্বিসারের রাজবৈদ্য
(ট) প্রাচীন ভারতের গণিত সবথেকে বেশি বিকশিত হয়েছিল—
(বরাহমিহির/ব্ৰহ্মগুপ্ত/আর্যভট্ট)-এর আমলে।
উত্তরঃ ব্ৰহ্মগুপ্ত
(ঠ) প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে চিকিৎসাশাস্ত্রকে বলা হত
(জীবনশাস্ত্র/উপবেদ/প্রাণদান)।
উত্তরঃ উপবেদ
(ড) নাটকের পর্দাকে-
(হিন্দিতে/সংস্কৃতে/পালিতে) বলে যবিনিকা।
উত্তরঃ সংস্কৃতে
(ঢ) সুয়ান জাং চিন থেকে উপমহাদেশে এসেছিলেন-
(630 খ্রিস্টাব্দে/399 খ্রিস্টাব্দে/405 খ্রিস্টাব্দে)।
উত্তরঃ 630 খ্রিস্টাব্দে
২। নীচের প্রশ্নগুলি নির্দেশমতো উত্তর দাও।
(ক) এককথায় উত্তর দাও: ১ x ৪ = ৪
(i) বৈদিক যুগের শিক্ষাচর্চা কীভাবে হত?
উত্তরঃ বৈদিক যুগের শিক্ষা চর্চা হতো মৌখিকভাবে।
(ii) বৈশালীর আশেপাশে যেসব বজ্জি থাকত তাদের কী বলা হয়?
উত্তরঃ বৈশালীর আশেপাশে যেসব বজ্জি থাকত তাদের বলা হয় লিচ্ছবি।
(iii) তামিলনাড়ুর কোন্ বন্দরে নিয়মিত দূরপাল্লার বাণিজ্য হত?
উত্তরঃ তামিলনাড়ুর কাবেরীপট্টনম বন্দরে নিয়মিত দূরপাল্লার বাণিজ্য হত।
(iv) মথুরা রীতির ভাস্কর্যে কোন চুনাপাথরের বেশি ব্যবহার হত?
উত্তরঃ মথুরা রীতির ভাস্কর্যে লাল চুনাপাথরের বেশি ব্যবহার হত।
(খ) শূন্যস্থান পূরণ করো: ১ x ৩ = ৩
(i) __________ বেদ আসলে জাদুমন্ত্রের সংকলন।
উত্তরঃ অথর্ব বেদ আসলে জাদুমন্ত্রের সংকলন।
(ii) অরাজতান্ত্রিক রাজ্যগুলিকে _________ বলা হয়।
উত্তরঃ অরাজতান্ত্রিক রাজ্যগুলিকে গণরাজ্য বলা হয়।
(iii) গন্ডোফারনেসের আমলে _____________ খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য উপমহাদেশে এসেছিলেন।
উত্তরঃ গন্ডোফারনেসের আমলে সেন্ট থমাস খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য উপমহাদেশে এসেছিলেন।
(গ) সত্য/মিথ্যা নির্ণয় করো: ১ x ৩ = ৩
(i) আদি বৈদিক সমাজে গবাদিপশুই ছিল প্রধান সম্পদ।
উত্তরঃ সত্য
(i) রবিকীর্তি সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি ছিলেন।
উত্তরঃ মিথ্যা
(iii) মেহরৌলি লৌহস্তম্ভে মরচে পড়েনি।
উত্তরঃ সত্য
(ঘ) ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখোঃ ১ x ৪ = ৪
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ | ||
(i) | কার্ষাপণ | (1) | সিমুক |
(ii) | গ্রিক শাসন | (2) | মুদ্রা |
(iii) | পঞমবেদ | (3) | আলেকজান্ডার |
(iv) | সাতবাহন বংশ | (4) | মহাভারত |
উত্তরঃ (i) কার্ষাপণ – (2) মুদ্রা
(ii) গ্রিক শাসন – (3) আলেকজান্ডার
(iii) পঞমবেদ – (4) মহাভারত
(iv) সাতবাহন বংশ – (1) সিমুক
৩। নীচের প্রশ্নগুলি দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও। ২ x ৬ = ১২
(ক) কৌটিল্য রচিত অর্থশাস্ত্র বইটিতে বিষয়বস্তু কী কী ছিল?
উত্তরঃ কৌটিল্য রচিত অর্থশাস্ত্রের মতে রাষ্ট্রীয় শাসনকার্যে প্রধান হলেন রাজা। তাঁর কথাই শেষ কথা। রাজকার্যেরসমস্ত বিষয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা করা হয়েছে অর্থশাস্ত্রে। শাসকের কি কি করা উচিত তাও বলা হয়েছে এই বইটিতে।
(খ) আর্যসত্য কী?
উত্তারঃ বুদ্ধ নিজের শিষ্যদের কাছে ব্যাখ্যা করেছিলেন দুঃখের কারণ কী? কিভাবে সেই দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? এই প্রশ্নগুলির ব্যাখ্যায় বুদ্ধ চারটি উপদেশ দেন। প্রতিটি উপদেশকে বলা হয় আর্যসত্য।
(গ) ত্রিরত্ন কী?
উত্তরঃ সৎ বিশ্বাস, সৎ জ্ঞান ও সৎ আচরণের উপর জৈনরা জোর দিতেন। এই তিনটিকে একসঙ্গে জৈন ধর্মে ত্রিরত্ন বলা হতো। বৌদ্ধ ধর্মে গৌতম বুদ্ধ হলেন প্রধান ব্যক্তি। তাঁর প্রচারিত ধর্মই বৌদ্ধ ধর্ম। বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের দায়িত্ব বৌদ্ধ সংঘের। এই তিন মিলে হয় বুদ্ধ-ধম্ম-সংঘ। এই তিনটি হলো বৌদ্ধ ধর্মের ত্রিরত্ন।
(ঘ) ‘দিগম্বর’ কাকে বলে?
উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসনের শেষ দিকে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়। সেই সময় অনেক জৈন সন্ন্যাসী উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে দাক্ষিণাতে চলে যান। দাক্ষিণাতে চলে যাওয়া এই জৈন সন্ন্যাসীদের নেতা ছিলেন ভদ্রবাহু। তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা মহাবীরের মতোই কোন পোশাক পড়তেন না। এদেরকে বলা হতো দিগম্বর।
(ঙ) সংখ্যায়ন কী?
উত্তরঃ পাটিগণিত, বীজগণিত এবং জ্যামিতি নিয়ে বৌদ্ধদের গণিতবিজ্ঞান তৈরি হয়েছিল। এই গণিতবিজ্ঞানকে জৈনরা সংখ্যায়ন বলত।
(চ) অগ্রহার ব্যবস্থা কী?
উত্তরঃ খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকের শুরু থেকে ব্রাহ্মণ এবং ধর্মস্থানের উদ্দেশ্যে ভূমিদান প্রথার প্রচলন ঘটে। ব্রাহ্মণ, পুরোহিত এবং ধর্মস্থানের উদ্দেশ্যে করমুক্ত গ্রাম বা নির্দিষ্ট ভূখণ্ড দানের এই রীতি ‘অগ্রহার’ নামে পরিচিত।
৪। নীচের প্রশ্নগুলির চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও। ৩ x ৫ = ১৫
(ক) টীকা লেখো: আর্যভট্ট অথবা, জীবক।
উত্তরঃ আর্যভট্টঃ গুপ্ত যুগের একজন বিখ্যাত গণিতজ্ঞ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন আর্যভট্ট। চারটি খণ্ডে এবং ১১৮ টি স্তোত্রে বিভক্ত আর্যভট্টীয় নামক গ্রন্থে তিনি গণিত, সময় ও গ্রহ-নক্ষত্র বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনিই প্রথম শূন্যের ব্যবহার করেন। আর্যভট্টের মতে, পৃথিবীর আকৃতি গোল এবং নিজ অক্ষের ওপর পৃথিবী অবিরাম ঘুরছে।
(খ) টীকা লেখো: এলাহাবাদ প্রশস্তি অথবা, অশোকের ধৰ্ম্ম।
উত্তরঃ এলাহাবাদ প্রশস্তিঃ এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে সমুদ্রগুপ্তের কথা জানা যায়। উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ দুর্গের মধ্যে এই প্রশস্তিটি পাওয়া যায়। এই প্রশস্তিটি ব্রাহ্মীলিপিতে সংস্কৃত ভাষায় খোদাই করা হয়েছে। গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি হরিষেন এটি রচনা করেছিলেন। এলাহাবাদ প্রশস্তিতে সমুদ্রগুপ্তের গুণগান করা হয়েছে। এলাহাবাদ প্রশস্তিত থেকে সমুদ্রগুপ্তের আর্যাবর্ত ও দাক্ষিণাত্য বিজয় এবং অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত গুণাবলি প্রভৃতির পরিচয় পাওয়া যায় ।
(গ) মৌর্য যুগের পোশাক পরিচ্ছদ ও ঘরবাড়ি সম্পর্কে যা জানো লেখো । অথবা, টীকা লেখো: সুদর্শন হ্রদ।
উত্তরঃ মৌর্য যুগের পোশাক পরিচ্ছদঃ মৌর্য আমলে পুরুষরা ধুতি ও চাদরের মতো পোশাক পরতো এবং নারীরা পোশাকের ওপর চাদর বা ওড়না ব্যবহার করতো। ধনী ও রাজপরিবারের নারী-পুরুষরা দামি পোশাক পরতো। সাধারণ মানুষ সুতির কাপড়-ই বেশি পছন্দ করতো।
মৌর্য যুগের ঘরবাড়িঃ মৌর্য যুগের ঘরবাড়ি গুলি তৈরি করা হত মাটি, পাথর, ইট এবং কাঠ দিয়ে। অনেকে ঘরের দেয়ালে নানা রঙের ছবি আঁকতো। প্রতিটি বাড়িতে আসবাবপত্র রূপে রাখা হত চৌকি, খাট, তোশক, মাদুর, বালিশ, চাদর প্রভৃতি।
(ঘ) দূত বিনিময় বলতে কী বোঝ ?
উত্তর প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশ এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের অন্যতম মাধ্যম ছিল দূতের আদানপ্রদান। এটিই দূত বিনিময় নামে পরিচিত। দূত বিনিময় মূলত মৌর্য আমলেই শুরু হয়েছিল। এইসব দূতের অনেকেই নিজেদের অভিজ্ঞতা লিখে রেখেছিলেন।
(ঙ) তক্ষশিলা মহাবিহার সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: প্রাচীন ভারতে গান্ধার মহাজনপদের রাজধানী তক্ষশিলায় অবস্থিত ছিল তক্ষশিলা মহাবিহার। দেশের নানা জায়গা থেকে ছাত্ররা উচ্চশিক্ষার জন্য তক্ষশিলায় আসত। ষোলো থেকে কুড়ি বছরের ছাত্ররা সেখানে ভরতি হতে পারত। প্রায় আট বছর ধরে লেখাপড়া চলত। তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হত চতুর্বেদ, পুরাণ, ইতিহাস, চিকিৎসাবিদ্যা, দর্শন, হিসাবশাস্ত্র, যুদ্ধবিদ্যা প্রভৃতি। তক্ষশিলা মহাবিহারের কয়েকজন বিখ্যাত শিক্ষার্থী ছিলেন জীবক, পাণিনি, চাণক্য প্রমুখ।
৫. নিচের প্রশ্নগুলির আট-দশটি বাক্যে উত্তর দাও। ৫ x ৩ = ১৫
(ক) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য সম্পর্কে লেখো।
উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের কথাঃ উপমহাদেশে আলেকজান্ডারের অভিযানের সময় মগধের সিংহাসনে ছিলেন নন্দ রাজারা। এঁরা প্রজাদের প্রিয় ছিলেন না। চাণক্য নামের এক পণ্ডিত নন্দরাজাদের রোষের মুখে পড়েন। চাণক্যের সাহায্যেই চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নন্দরাজাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেন। শেষ নন্দরাজা ধননন্দ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের কাছে হেরে যান। এইভাবে মগধে মৌর্যদের শাসন শুরু হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে মৌর্য সাম্রাজ্যই প্রথম সাম্রাজ্য। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য সেই সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট। পাটলিপুত্র ছিল তার রাজধানী। মৌর্য সাম্রাজ্য গড়ে তোলার প্রধান কৃতিত্ব চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যেরই।
(খ) ফাসিয়ানের লেখায় ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ জীবনের যে চিত্র পাওয়া যায় তার বিবরণ দাও।
উত্তরঃ ফাসিয়ানের লেখা থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ সম্পর্কে যা জানা যায়, সেগুলি হলো-
১. ফাসিয়ান লিখেছেন ভারতীয় উপমহাদেশে অনেকগুলি নগর ছিল। সেগুলির মধ্যে মধ্যদেশের নগরগুলি ছিল উন্নত।
২. তাঁর মতে ভারতীয় নগরগুলিতে জনগণ সুখে-শান্তিতে বসবাস করত। তবে চণ্ডালরা নগরের বাইরে বাস করত।
৩. ফাসিয়ানের মতে এদেশের নগরগুলির মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নগর পাটলিপুত্র। তাঁর মতে পাটলিপুত্রের লোকেরা ছিল সুখী এবং সম্পদশালী।
৪. ধনী বৈশ্যরা নগরের বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে ওষুধ ও দাতব্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন। সেখানে গরিব মানুষদের থাকা-খওয়ারও ব্যবস্থা ছিল।
(গ) প্রাচীন ভারতে চিকিৎসাশাস্ত্র সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।
উত্তরঃ প্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে চিকিৎসাশাস্ত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রন্থ রচিত হতে থাকে। ব্রাক্ষ্মণ ও বৌদ্ধ ধর্মগুরুরা তাঁদের নানা লেখায় ওষুধ ও অস্ত্রোপচারের উল্লেখ করেছেন। চিকিৎসাশাস্ত্র বিষয়ক দুটি গুরুত্বপূর্ণ বই হল ‘চরক সংহিতা’ ও ‘শুশ্রুত সংহিতা’। চিকিৎসার গুরুত্বের কারণেই প্রাচীন ভারতে চিকিৎসাশাস্ত্রকে বলা হত ‘উপবেদ’। গুপ্ত আমলেও চিকিৎসা বিষয়ক বই লেখা হত। গুপ্ত ও গুপ্তোত্তরকালে পশুচিকিৎসা সম্পর্কিত বইও লেখা হতে থাকে।
আরো পড়ুন
Class 6 Bengali (বাংলা) 3rd Unit Test Question Paper 2022 PDF
Class 6 History (ইতিহাস) 3rd Unit Test Question Paper 2022 PDF
Class 6 Geography (ভূগোল) 3rd Unit Test Question Paper 2022 PDF
Class 6 Science (পরিবেশ ও বিজ্ঞান) 3rd Unit Test Question Paper 2022 PDF
Class 6 English 3rd Unit Test Question Paper 2022 PDF
Class 6 Mathematics (গণিত) 3rd Unit Test Question Paper 2022 PDF