বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
অথবা, বাংলা সাহিত্যে প্রাবন্ধিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর অবদান
উত্তর:
বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা উপন্যাসের প্রথম যথার্থ শিল্পী। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়— বঙ্কিম বঙ্গসাহিত্যে প্রভাতের সূর্যোদয় বিকাশ করিলেন ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে দুর্গেশনন্দিনীর মাধ্যমে স্রষ্টা বঙ্কিমের আবির্ভাব এবং ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গদর্শন পত্রিকার সম্পাদক রূপে আবির্ভাব নিঃসন্দেহে স্মরণীয় ঘটনা। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবধারা কে সাঙ্গীকৃত করেছিল বলেই বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে তার খ্যাতি যুগপৎ স্রষ্টা ও সম্পাদক রূপে।
বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস রচনার প্রেক্ষাপট আসলে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে। তৎকালীন সময়ের প্রথা ও সংস্কার আন্দোলন, হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থান, হিন্দু ধর্মের রক্ষণশীলতা, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবধারার সংঘাত, প্রগতিশীল ভাবধারার অভাব, সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার প্রাধান্য প্রভৃতি হল উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে আর্থসামাজিক পটভূমিকা এবং এই পটভূমিকাই বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস রচনার প্রেক্ষাপট। বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গুলি কে গুণগত বৈশিষ্ট্য অনুসারে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিন্যস্ত করে নিম্নে আলােচনা করা হল—
ক) রােমান্স ধর্মী উপন্যাস:
বঙ্কিমচন্দ্রের ইতিহাস আশ্রিত রােমান্সধর্মী উপন্যাস গুলি হল — দূর্গেশনন্দিনি (১৮৬৫), কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬), মৃণালিনী (১৮৬৯), যুগলাঙ্গুরীয় (১৮৭৪)
(১) দুর্গেশ নন্দিনী: বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস দূর্গেশনন্দিনি ষােড়শ শতকের শেষভাগে উড়িষ্যার অধিকারকে কেন্দ্র করে মােগল ও পাঠানের সংগ্রামের পটভূমিকায় রচিত ঘটনাবহুল বর্ণাঢ্য উপন্যাস। মােঘল সেনাপতি মানসিংহের পুত্ৰ জগত সিংহের প্রতি গড় মান্দারণ এর অধিপতি বীরেন্দ্র সিংহের কন্যা দুর্গেশনন্দিনী তিলােত্তমা এবং পাঠান নবাব কতলু খার কন্যা আয়েশার আকর্ষণী এই উপন্যাসের প্রধান বক্তব্য। যদিও পাঠান সেনাপতি ওসমান আয়েশার প্রণয়প্রার্থী কিন্তু আয়েশা ভাতৃস্নেহ করে তাকে ফিরিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহের পর জগৎসিংহের সঙ্গে তিলােত্তমার বিবাহ হয় ও আয়েশার দেশ পরিত্যাগ করে চলে যাওয়া। ঘটনা বিন্যাস চরিত্র-চিত্ৰন সবদিক থেকেই দুর্গেশনন্দিনী সার্থক সৃষ্টি।
(২) কপালকুন্ডলা: কপালকুণ্ডলা বঙ্কিম প্রতিভা রােমান্স রসনার সীমা স্বর্গ স্পর্শ করেছে। বঙ্কিম প্রতিভা এখানে পূর্ণ পরিণতি লাভ করে। উপন্যাসের কাহিনী ছিল এমনটা – তীর্থ দর্শন এ আসা এক জনহীন সমুদ্র উপকূলে সঙ্গী পরিত্যক্ত নবকুমার তান্ত্রিক প্রতিপালিত সমাজ-সংসার, বিবাহ বিষয়ে অনভিজ্ঞ অরণ্য কন্যাকে বিয়ে করে নিয়ে আসে স্বগ্রামে। নবকুমারের পরিত্যক্ত প্রথমা পত্নী পদ্মাবতী কপালকুণ্ডলা কে দেখে ঈর্ষা পরায়ন হয়ে তাকে নবকুমারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় কাপালিকের সাহায্যে। অন্যদিকে কপালকুণ্ডলা জীবন ও সংসারের প্রতি উদাসীন হয়ে এক অলৌকিক ইঙ্গিতে প্রবল জলােচ্ছাসে ভেসে যায় এবং তাকে ধরতে নবকুমার তলিয়ে যায় জলপ্রবাহের মধ্যে। অসামান্য মৌলিকতার বঙ্কিমচন্দ্রের “কপালকুণ্ডলা” রােমান্টিক কল্পনার শ্রেষ্ঠ শিল্প সম্পদ।
(৩) মৃণালিনী: বক্তিয়ার খলজির নেতৃত্বে সপ্তদশ অশ্বারােহীর বঙ্গবিজয়ের অবিশ্বাস্য গল্প বাঙালির কাছে একটা কলঙ্কের দিন। ইতিহাসের সেই কলঙ্ক মােচনে কবি বদ্ধপরিকর। পশুপতি চরিত্রকে আশ্রয় করে তিনি সেদিনের লাঞ্ছিত বাঙালির পক্ষে লেখনি ধারণ করেন। বঙ্কিমের কল্পনার জাল মৃণালিনীকে কাব্য সুষমামণ্ডিত করেছে। এই উপন্যাসেই বঙ্কিম গান ও ছড়ার ব্যবহার করেছেন।
খ) সামাজিক উপন্যাস:
অন্যায়, পাপ, লাঞ্ছনা প্রভৃতিকে দূর করে সমাজকে কেমন করে সুন্দর করা যায় বঙ্কিমচন্দ্র সেই প্রয়াসই করেছেন তার সামাজিক উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে। তার সৃষ্ট সার্থক সামাজিক উপন্যাস গুলির মধ্যে রয়েছে – বিষবৃক্ষ (১৮৭৩), কৃষ্ণকান্তের উইল (১৮৭৮), রজনী (১৮৭৭), ইন্দিরা (১৮৭৩), রাধারানী (১৮৮৬),
(১) বিষবৃক্ষ: অসংযত রূপমােহ কিভাবে সংসারে বিষ বৃক্ষ রােপন করে এবং এই বিষবৃক্ষের ফল ভােগ যে কি নিদারুন ও হৃদয়বিদারক হতে পারে তারই করুন ঘন হাহাকার পূর্ণ ও বিষাদময় চিত্র বঙ্কিমচন্দ্র অপূর্ব সূক্ষদর্শিতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন তাঁর কালজয়ী বিষবৃক্ষ উপন্যাসের মাধ্যমে।
উপন্যাসের বিষয়টি ছিল এমনটা- আশ্রযহীন পিতা-মাতাহীন, কূন্দনীকে গােবিন্দপুর এর জমিদার তার নিজ গৃহে আশ্রয় দিল এবং তার পত্নী সূর্যমুখী কূন্দনীকে বিয়ে দেন ভাই তারাচরণের সঙ্গে। কিন্তু এক বছরের মধ্যে বিধবা হয়ে তাদের সংসারে ফিরে আসে। পত্নীপ্রেমে পরিতৃপ্ত অনিন্দিত চরিত্র নগেন্দ্রনাথ কূন্দনীকে সারল্যমন্ডিত রূপে মুগ্ধ হন এবং আত্মসংযম অক্ষম নগেন্দ্রনাথের দুর্নিবার প্রবৃত্তি সূর্যমুখী, কূন্দনী ও তার নিজের জীবনে দারুন ঝড় বয়ে আনে এবং তাতেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তিনটি জীবন। চরিত্র-চিত্রণ, ঘটনা বিন্যাস, সহজ ও বাস্তব কাহিনি সব দিক দিয়েই বিষবৃক্ষ বাঙালি সাহিত্যে খুব জনপ্রিয় উপন্যাস।
(২) কৃষ্ণকান্তের উইল: বিষ বৃক্ষের মতাে এই উপন্যাসে ট্রাজেডির মূল কারণ অনিবার্য রূপ ও তৃষ্ণা রূপমুগ্ধ পুরুষের অক্ষমতা। বাল্যবিধবা রােহিনীর অতৃপ্ত রূপযৌবনের অগ্নিশিখায় গােবিন্দলালের অন্তরে যে কামনার অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে তাতে গােবিন্দলালের জীবন, তার সংসার এবং সেইসঙ্গে পুড়ে মরেছে রােহীনিও। কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসে বঙ্কিম বিষবৃক্ষের সমস্যাকেই নতুন ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। দুটি উপন্যাসেই স্বামী স্ত্রী এবং বিধবা রমণীর জীবনমথিত ত্রিকোণ প্রেমের ট্রাজিক যন্ত্রণার অশ্রুসজল চিত্রায়ন।
(৩) ইন্দিরা: এই উপন্যাসে একটি বিবাহিত বালিকা শ্বশুর বাড়ি যাবার পথে দস্যু বিড়ম্বিত হয়ে অনেকদিন পর আবার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অধিকার ফিরে পায় এই টুকুই ছিল ইন্দিরা উপন্যাসের বিষয়বস্তু।
(৪) রজনী: এই উপন্যাসে রজনী নামে এক দৃষ্টি হীনা রমনির অসাধারণ মনস্তাত্ত্বিক উপলব্ধি সমগ্র উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে। লিটন এর রচিত- Last Days of Pompei নামক বিখ্যাত ঐতিহাসিক উপন্যাসের অন্ধ দরিদ্র ফুলওয়ালী নিদিয়ার স্মরনে বঙ্কিমচন্দ্র অন্ধ রমণী রজনীর চরিত্র পরিকল্পনা করেছেন। রজনীর মধ্য দিয়ে নিজস্ব স্বীকৃত মানসিক তত্ব ও নৈতিক বক্তব্য প্রতিপাদন করতে চেয়েছেন। দৃষ্টিহীনার প্রখর অনুভূতির মধ্য দিয়ে জগৎ ও জীবনকে প্রতিফলিত করে দেখানাে তার উদ্দেশ্য, অন্ধ রজনী তার সার্থক বাহন। সেই অর্থে রজনী বাংলা সাহিত্যের প্রথম সাইকোলজিকাল নবেল বলা হয়। তাছাড়া রজনী উপন্যাসের বিশেষ গঠন প্রণালী অবলম্বন করে উপন্যাসে বিভিন্ন পাত্রপাত্রীর আত্মকথার মধ্য দিয়ে উপন্যাসটি পরিণীতির দিকে অগ্রসর হয়েছে। উপন্যাসের গঠন কৌশল এর দিক থেকে বঙ্কিমের কৃতিত্ব পরিস্ফুটিত হয়েছে।
(৫) রাধারানী: এই উপন্যাসে একটি দুঃস্থ বালিকা রথের মেলায় রােগগ্রস্থ জননীর পথ্য ব্যবস্থার জন্য অনভ্যস্ত হাতে ফুলের মালা গেঁথে বিক্রি করতে আসে। রুক্কিনীকুমার ছদ্মনামধারী এক ধনী ব্যক্তির অনুদানে সে যাত্রায় তার দুর্গতি মােচন হয়। পরে রাধারানী নিজের পিতৃ সম্পত্তির অধিকার পায় এবং ছদ্মবেশ ধারণকারি রুক্কিনীকুমারের পরিচয় পেয়ে তার সঙ্গে প্রনয় সূত্রে আবদ্ধ হয়। এটাই ছিল এই উপন্যাসের মূল কাহিনী।
গ) ঐতিহাসিক উপন্যাস:
ঐতিহাসিক ঘটনা ও ইতি ঐতিহাসিক চরিত্র কে অবলম্বন করে বঙ্কিমচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক উপন্যাস গুলি হল – রাজ সিংহ (১৮৮২), চন্দ্রশেখর (১৮৭৫) ও সীতারাম (১৮৮৭)।
(১) রাজসিংহ: বঙ্কিমচন্দ্রের রাজসিংহ একমাত্র বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক উপন্যাস কারণ এর কাহিনী ও প্রধান চরিত্র গুলি ইতিহাস আশ্রিত। রাজস্থানের চঞ্চলকুমারীকে ঔরঙ্গজেবের বিবাহ ইচ্ছা এবং তা থেকে রানারাজসিংহের জয় লাভ এবং চঞ্চল কুমারীর সঙ্গে বিবাহ ইতিহাস এর সঙ্গে মােবারক-জেবুন্নিসা-দরিয়ি বিবি এদের কাল্পনিক উপকাহিনি খুব সুন্দর ভাবে চিত্রিত করেছেন। এখানেই বঙ্কিমচন্দ্র উপন্যাসিক প্রতিভার যথার্থ পরিচয় দেখিয়েছেন।
(২) চন্দ্রশেখর: চন্দ্রশেখর বঙ্কিমচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস গুলির মধ্যে অন্যতম। শৈবালিনী, প্রতাপ চন্দ্র শেখরের কাহিনী ও মীর কাসিম, গুরগন খাঁ, দলনি বেগম উপাখ্যান উপন্যাসে এই দুই করুন কাল্পনিক কাহিনী একসূত্রে গেঁথে বঙ্কিমচন্দ্র আশ্চর্য গঠনকৌশল এর পরিচয় দিয়েছেন। এই উপন্যাসে ইতিহাস ও কাল্পনিক কাহিনীর মধ্যে আশ্চর্য সমন্বয় সাধিত হয়েছে। চন্দ্রশেখর ইতিহাসাশ্রিত সামাজিক উপন্যাস।
(৩) সীতারাম: সীতারাম ইতিহাস আশ্রিত তথ্যমূলক উপন্যাস। সীতারাম মূলত চরিত্র বিশ্লেষণ এর উপন্যাস। রুপের মােহ চরিত্রবান পুরুষ কে কতদূর সর্বনাশ করতে পারে এই উপন্যাসে তা দেখানাে হযেছে। সীতারামের ঐতিহাসিক অংশ ক্ষীন হলেও যথেষ্ট সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে চিত্রিত হয়েছে।
ঘ) তত্বমূলক উপন্যাস:
বঙ্কিমচন্দ্রের তত্ব ও দেশাত্মবােধক উপন্যাস ২ টি হল – আনন্দমঠ (১৮৮২) ও দেবী চৌধুরানী (১৮৮৪)
(১) আনন্দমঠ: আনন্দমঠ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ও ও সন্ন্যাসী বিদ্রোহ কে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে। ছিয়াত্তরের মন্বন্তর দেশের মানুষদের ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দেয় অন্যদিকে মােহাম্মদ রেজা খার রাজস্ব আদায়ের নিষ্ঠুর নির্মমতা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন একদল সর্বত্যাগী স্বদেশপ্রেমিক সন্ন্যাসী এসব অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। স্বামী সত্যানন্দ এর নেতৃত্বে আনন্দমঠের সন্নাসীদের দেশমাতৃকার বন্ধন মুক্তির জন্য রাজশক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘােষণা করার আদর্শনিষ্ঠ কাহিনী আনন্দমঠ উপন্যাসের বিষয়বস্তু।
(২) দেবী চৌধুরাণী: এই উপন্যাসে প্রফুল্ল নামা এক নারী পতিগৃহ থেকে অপমানিত ও বিতাড়িত হয়ে বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে উত্তরবঙ্গের এক দুর্ধর্ষ নারী ডাকাত দেবী চৌধুরানী তে পরিণত হল। বিভিন্ন অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হল এবং পরিশেষে আদর্শ নারী হিসাবে গৃহ জীবনে প্রবেশ করল এটাই ছিল উপন্যাসের বিষয়বস্তু। এক অসামান্য নারী কিভাবে গীতার নিষ্কাম তথ্য ও কল্যাণময়ী পরিবারনিষ্ঠ জীবন দর্শন কে গ্রহণ করেছিল দেবী চৌধুরানী তার শিল্প পরিচয় ফুটিয়ে তােলা হয়।
পরিশেষে বলতে পারি ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস গুলিতে ঐতিহাসিক চরিত্র এবং ঐতিহাসিক ঘটনা খুব সুন্দর ও তথ্য নিষ্ঠার সঙ্গে সংগ্রহ করেছেন। আবার তত্বমূলক উপন্যাসে ধর্ম, স্বদেশচেতনা, নীতিবােধ ইত্যাদি বিষয়গুলাে আদর্শ নিষ্ঠার সঙ্গে প্রকাশ করেছেন। নারী-পুরুষের চিরন্তন প্রবৃত্তিকে অবলম্বন করে সমাজের সমস্যাগুলি কে সুন্দরভাবে অবতরণ করেছে। প্রেমের দুর্গম শক্তিকে তিনি যেমন স্বীকৃতি দিয়েছেন তেমনি ভাবে বৈধব্য জীবনের অপরিতৃপ্ত প্রেম পিপাসাকে বাস্তব রূপ দিতে দ্বিধাবােধ করেননি। ঐতিহাসিক, সামাজিক রােমান্স, দেশােত্তবােধক প্রতিটি বিষয়ে তিনি সঠিকভাবে উপন্যাস রচনা করেছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে শ্রী কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন – “বঙ্কিমের হাতে বাংলা উপন্যাস পূর্ণ যৌবনের শক্তি ও সৌন্দর্য লাভ করিয়াছে…”
আরো পড়ুন
বাংলা ছোট গল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান
বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান আলোচনা করো
বাংলা নাট্য সাহিত্যে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান আলোচনা করো
বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো
বাংলা নাট্য সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করো