Class 8 History 1st Unit Test Question Paper 2024 PDF | অষ্টম শ্রেনী ইতিহাস প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৪

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, এই পোস্টে আমরা Class 8 History 1st Unit Test Question Paper 2024 PDF নিয়ে আলোচনা করেছি। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে তোমরা যারা অষ্টম শ্রেনীতে পড়ছো তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অষ্টম শ্রেনী ইতিহাস প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৪ -এর সিলেবাস, সাজেশন এবং নমুনা প্রশ্নপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা রাখছি এই আর্টিকেল টি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অনেকটাই সাহায্য করবে। ধন্যবাদ

1st Unit Test Question Paper 2024

প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন – 2024

অষ্টম শ্রেনী

বিষয় – ইতিহাস

পূর্ণমান – ১৫ | সময় – ৩০ মিনিট


Class 8 History 1st Unit Test Question Paper 2024

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ আঞ্চলিক শক্তির উত্থান 

তৃতীয় অধ্যায়ঃ ঔপনিবেশিক কৰ্তৃত্ব প্রতিষ্ঠান

MCQSAQ2 MARK3 MARK5 MARK
1. আঞ্চলিক শক্তির উত্থান 1 × 2 = 21 × 1 = 12 × 1 = 23 × 1 = 35 × 1 = 5
2. ঔপনিবেশিক কৰ্তৃত্ব প্রতিষ্ঠান1 × 1 = 11 × 1 = 12 × 1 = 23 × 1 = 35 × 1 = 5
প্রদত্ত প্রশ্ন সংখ্যা32222
TOTAL3223515

(ক) ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে মুরশিদকুলি খান ছিলেন বাংলার (দেওয়ান/ফৌজদার/নবাব)।

উত্তরঃ দেওয়ান

(খ) 1765 খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা বাংলার দেওয়ানি লাভ করে—(দ্বিতীয় শাহ আলমের নিকট থেকে/ দ্বিতীয় বাহাদুর শাহর নিকট থেকে/ ফারুকশিয়রের নিকট থেকে/ ঔরঙ্গজেবের নিকট থেকে)।

উত্তরঃ দ্বিতীয় শাহ আলমের নিকট থেকে

(গ) স্বেচ্ছায় অধীনতামূলক মিত্রতার নীতি মেনে নিয়েছিলেন (টিপু সুলতান/সাদাত খান/নিজাম/মিরজাফর)।

উত্তরঃ নিজাম

(ক) আলিনগরের সন্ধি কবে স্বাক্ষরিত হয়? 

উত্তরঃ 1757 খ্রিস্টাব্দের 9 ফেব্রুয়ারি।

(খ) বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন? 

উত্তরঃ ওয়ারেন হেস্টিংস

(গ) ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কে প্রতিষ্ঠা করেন? 

উত্তরঃ লর্ড ওয়েলেসলি

(ঘ) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কে প্রবর্তন করেন?

উত্তরঃ লর্ড কর্নওয়ালিস

(ক) দ্বৈত শাসনব্যবস্থা বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ কোম্পানির দেওয়ানি লাভের ফলে প্রকৃতপক্ষে বাংলায় দুজন শাসক তৈরি হয়। একদিকে রাজনৈতিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিজামতের দায়িত্ব ছিল বাংলার নবাবের হাতে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব ও রাজস্ব আদায়ের অধিকার পেয়েছিল ব্রিটিশ কোম্পানি। ফলে নবাবের হাতে ছিল অর্থনৈতিক ক্ষমতাহীন রাজনৈতিক দায়িত্ব। ব্রিটিশ কোম্পানি পেয়েছিল দায়িত্বহীন অর্থনৈতিক ক্ষমতা। বাংলার এই শাসন ব্যবস্থাকে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা বলা হয়। 

(খ) ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা কাকে বলে?

উত্তরঃ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল একটি বণিক সংস্থা। ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্যের স্বার্থে তারা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কতগুলি ঘাঁটি তৈরি করেছিল। এই ঘাঁটিগুলির মধ্যে ছিল মাদ্রাজ, বোম্বাই ও কলকাতা। পরে এই তিনটি বাণিজ্যঘাঁটিকে কেন্দ্র করে যে ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, তাকে ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা বলা হয়।

(ক) টীকা লেখো : ফারুকশিয়রের ফরমান।

উত্তরঃ ফাররুখশিয়র ফরমান মোতাবেক ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বাংলাদেশে কতগুলি বিশেষ বাণিজ্যিক অধিকার দেওয়া হয়েছিল। বিনা শুল্কে বছরে মাত্র ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে কোম্পানি বাংলায় বাণিজ্য করতে পারবে। কোম্পানি জাহাজের সঙ্গে অনুমতি পত্র থাকলেই সেই জাহাজ অবাধে বাণিজ্য করতে পারবে। বাংলার নবাবের মুর্শিদাবাদ টাকশাল প্রয়োজনমতো কোম্পানি ব্যবহার করতে পারবে। ফাররুখশিয়রের ফরমান বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অবাধ বাণিজ্যের পথ খুলে দিয়েছিল।

(খ) কোম্পানি শাসনে জরিপের ক্ষেত্রে রেনেল-এর কী ভূমিকা ছিল ? 

উত্তরঃ ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলার নদী পথগুলি জরিপ করেন জেমস রেনেল। ১৭৬৭ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি ভারতের সার্ভেয়ার জেনারেল বা জরিপ বিভাগের প্রধান হিসাবে তাকে নিয়োগ করে। বাংলায় নদীপথগুলি জরিপ করে রেনেল মোট ১৬টি মানচিত্র তৈরি করেছিলেন। সেই প্রথম রেনেলের তত্ত্বাবধানে বাংলার নদী গতিপথের মানচিত্র বানানো হয়। এর ফলস্বরূপ দেওয়ানি লাভের পর রাজস্ব আদায়ের জন্য জমি জরিপের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।

(ক) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে বাংলার নবাব সিরাজ-উদ্ দৌলার বিরোধের কারণগুলি কী ছিল? 

উত্তরঃ নবাব আলিবর্দি খানের মৃত্যুর পর বাংলার নবনিযুক্ত নবাব সিরাজ উদ-দৌলার সঙ্গে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরোধের ফলশ্রুতি হল ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন পলাশির যুদ্ধ। এই বিরোধের পিছনে ছিল নানা কারণ—

[১] কোম্পানির ষড়যন্ত্র: সিরাজ-বিরোধী ঘসেটি বেগম এবং সৌকত জঙের সঙ্গে কোম্পানি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে ক্ষুব্ধ নবাব সিরাজ কোম্পানিকে উচিত শিক্ষা দিতে সচেষ্ট হন।

[২] রীতির অবমাননা: নবাবপদে সিরাজের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে ইংরেজ কোম্পানি গরহাজির ছিল, উপরন্তু চিরাচরিত রীতি মেনে নবাবকে কোনো উপঢৌকনও না পাঠানোয় সিরাজ রুষ্ট হন।

[৩] অবৈধ দুর্গ নির্মাণ: ইংরেজ ও ফরাসি কোম্পানি বাংলায় দুর্গ নির্মাণ শুরু করলে সিরাজ তা বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু ইংরেজ কোম্পানি এই নির্দেশ অগ্রাহ্য করলে সিরাজ ও কোম্পানির সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

[৪] দত্তকের অপব্যবহার: কোম্পানির কর্মচারীরা তাদের ব্যক্তিগত বাণিজ্যে অবৈধভাবে দস্তকের অপব্যবহার করতে শুরু করলে সিরাজ ইংরেজদের ওপর ক্ষুব্ধ হন ।

[৫] কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান: নবাবি তহবিল তছরুপের অভিযোগে ঢাকার দেওয়ান রাজবল্লভকে সিরাজ মুর্শিদাবাদে তলব করেন। এর ফলে তিনি তাঁর পুত্র কৃষ্ণদাসকে প্রচুর ধনরত্ন-সহ কলকাতায় কোম্পানির কুঠিতে পাঠিয়ে দেন। নবাবের বারংবার নির্দেশ সত্ত্বেও কোম্পানি কৃষ্ণদাসকে ফেরত না পাঠানোয় সিরাজ প্রচন্ড রুষ্ট হন।

[৫] আলিনগরের সন্ধিভঙ্গ: সিরাজ কলকাতা দখল করে এর নাম রাখেন আলিনগর। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই রবার্ট ক্লাইভ ও ওয়াটসনের নেতৃত্বে কোম্পানি কলকাতা পুনর্দখল করে নেয়। ফলস্বরূপ কোম্পানি ও সিরাজের মধ্যে আলিনগরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হলেও শেষপর্যন্ত ফরাসিদের আশ্রয়দানের অভিযোগে নবাবকে সন্ধির শর্তভঙ্গের জন্য দায়ী করা হয়।

এই ঘটনাপ্রবাহের পরিণতিতে সিরাজ-বিরোধী জগৎ শেঠ, মির জাফর প্রমুখের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে রবার্ট ক্লাইভ নবাব সিরাজকে সিংহাসনচ্যুত করতে সচেষ্ট হন। এরই ফল হল পলাশির যুদ্ধ।

(খ) অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির মূল উদ্দেশ্য কী ছিল? অথবা, উডের প্রতিবেদন সম্পর্কে কী জান?

উত্তরঃ ব্রিটিশ কোম্পানির গভর্নর-জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি কোম্পানির সাম্রাজ্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার এক নীতি প্রণয়ন করেন, যা ইতিহাসে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি নামে পরিচিত। হায়দরাবাদের নিজাম প্রথম অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করেন।

উডের প্রতিবেদনঃ ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড শিক্ষা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেশ করেন যা উডস ডেসপ্যাচ নামে পরিচিত। এই ডেসপ্যাচের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক সরকারকে প্রাথমিক থেকে বিদ্যালয়স্তর পর্যন্ত একটি সুগঠিত শিক্ষাকাঠামো গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদনের সুপারিশে কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠে।

(গ) ব্রিটিশ রেসিডেন্টের কাজ কী ছিল?

উত্তরঃ ব্রিটিশ কোম্পানি নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন রাজদরবারে নিজেদের প্রতিনিধি রাখতো। সেই প্রতিনিধিরা রেসিডেন্ট নামে পরিচিত ছিল। এর মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ কোম্পানির চূড়ান্ত ক্ষমতার রূপ পেয়েছিল। কোম্পানির নজর এড়িয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা ভারতীয় দেশীয় শক্তিগুলির বিশেষ ছিল না। কোম্পানির হয়ে সেই নজর দাড়ির কাজটাই চালাত স্থানীয় ব্রিটিশ রেসিডেন্ট।

আরো পড়ুন

Class 8 Bengali 1st Unit Test Question Paper 2024 PDF | অষ্টম শ্রেনী বাংলা প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৪

Leave a Comment

error: Content is protected !!