প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, এই পোস্টে আমরা Class 7 History 1st Unit Test Question Paper 2024 PDF নিয়ে আলোচনা করেছি। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে তোমরা যারা সপ্তম শ্রেনীতে পড়ছো তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৪ -এর সিলেবাস, সাজেশন এবং নমুনা প্রশ্নপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা রাখছি এই আর্টিকেল টি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অনেকটাই সাহায্য করবে। ধন্যবাদ
1st Unit Test Question Paper 2024
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন – 2024
সপ্তম শ্রেনী
বিষয় – ইতিহাস
পূর্ণমান – ১৫ | সময় – ৩০ মিনিট
Class 7 History 1st Unit Test Question Paper 2024
সিলেবাস :
দ্বিতীয় অধ্যায় – ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা
তৃতীয় অধ্যায় – ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা
নম্বর বিভাজন :
MCQ | SAQ | 2 MARK | 3 MARK | 5 Mark | TOTAL | |
গদ্য | 1 × 1 = 1 | 1 × 1 = 1 | 1 × 2 = 2 | 4 | ||
কবিতা | 1 × 1 = 1 | 1 × 1 = 1 | 1 × 2 = 2 | 4 | ||
ব্যাকরণ | 1 × 2 = 2 | 1 × 3 = 3 | – | 5 | ||
সহায়ক পাঠ | – | 1 × 2 = 2 | – | 2 | ||
TOTAL | 4 | 7 | 4 | 15 |
সাজেশন :
১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো। 1 x 3 = 3
(ক) বাংলায় পাল বংশের রাজত্ব শুরু হয় খ্রিস্টাব্দে।
উত্তরঃ 750 খ্রিস্টাব্দে।
(খ) প্রথম খলিফা ছিলেন—(মহম্মদ ঘোরি/বাইতুল্লাহ/ আবু বকর)।
উত্তরঃ আবু বকর
(গ) কয়েকটি গ্রামকে নিয়ে গঠিত হত—(নাড়ু/উর/নগরম)।
উত্তরঃ নাড়ু
২। এককথায় উত্তর দাও। 1 x 2 = 2
(ক) ‘সকলোত্তরপথনাথ’ কার উপাধি ছিল?
উত্তরঃ ‘সকলোত্তরপথনাথ’ হর্ষবর্ধনের উপাধি ছিল।
(খ) পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বৌদ্ধমন্দির কোনটি?
উত্তরঃ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বৌদ্ধমন্দির হলো ইন্দোনেশিয়ার বোরোবোদুরের বৌদ্ধ মন্দির।
৩। যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও । 2 x 1 = 2
(ক) প্রাচীন বাংলার প্রধান দুটি অঞ্চলের নাম লেখো । প্রাচীনকালে বঙ্গ বলতে কোন্ অঞ্চলকে বোঝানো হত ?
উত্তরঃ প্রাচীন বাংলার প্রধান দুটি অঞ্চলের নাম পুণ্ড্রবর্ধন ও বরেন্দ্র। প্রাচীনকালে ভাগীরথী ও পদ্মার মাঝে ত্রিভুজের মতো দেখতে ব-দ্বীপ অঞ্চলকে বঙ্গ বলা হত।
(খ) লক্ষ্মণ সেনের রাজসভার পঞ্চরত্নদের নাম লেখো।
উত্তরঃ লক্ষ্মণ সেনের রাজসভার পঞ্চরত্নদের নাম হলো জয়দেব, গোবর্ধন, উমাপতিধর, ধোয়ী এবং শরণ।
৪। যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও ৷ 3 x 1 = 3
(ক) শশাঙ্ককে কেন ‘বৌদ্ধধর্মবিদ্বেষী’ বলা হয় ?
উত্তরঃ শশাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের হত্যা করেছিলেন এবং বৌদ্ধদের পবিত্র ধর্মীয় স্মারক ধ্বংস করেছিলেন। একারণেই ‘আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প’, ‘হর্ষচরিত’ ইত্যাদি গ্রন্থে তাঁকে ‘বৌদ্ধধর্মবিদ্বেষী’ হিসেবে সমালোচনা করা হয়েছে।
(খ) জনসমর্থনের নিরিখে বাংলার পাল ও সেন শাসনের তুলনা করো।
উত্তরঃ
পাল আমল | সেন আমল |
[a] চারশো বছরেরও বেশি স্থায়ী হয়। | [a] একশো বছরের কিছু বেশি স্থায়ী হয়। |
[b] জনগণের সমর্থনে গোপাল ক্ষমতাসীন হন। | [b] জনগণের সমর্থনে বিজয়সেন ক্ষমতায় আসেন। |
[c] সমাজে পাল রাজারা নিজেদের গ্রহণযোগ্য করে তোলেন। | [c] সেন রাজারা সমাজে তেমন গ্রহণযোগ্য ছিলেন না। |
৫। যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও। 5 x 1 = 5
(ক) বাংলার স্বাধীন রাজা শশাঙ্ক সম্পর্কে আলোচনা করো।
উত্তরঃ শশাঙ্ক গুপ্তসম্রাট মহাসেনগুপ্তের অধীনে একজন সামন্ত ছিলেন। পরবর্তীকালে ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে শশাঙ্ক স্বাধীন গৌড়ের শাসক হন।
[a] রাজ্যবিস্তার: শশাঙ্কের আমলে গৌড়ের ক্ষমতা আরও বেড়েছিল। তাঁর রাজত্ব উত্তর-পশ্চিম বারাণসী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। সমগ্র গৌড়, মগধ, বুদ্ধগয়া, কঙ্গোদ, ওড়িশাকে তিনি নিজ অধিকারে আনতে পেরেছিলেন। তাঁর রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ।
[b] কৃতিত্ব: শশাঙ্কের হাতে মৌখরি রাজা গ্রহবর্মা এবং পুষ্যভূতি রাজা রাজ্যবর্ধন পরাজিত ও নিহত হয়েছিলেন। পরবর্তী থানেস্বরের শাসক হর্ষবর্ধন শশাঙ্ককে উচিত শিক্ষা দিতে কামরূপের রাজা ভাস্করবর্মার সঙ্গে মিত্রতাস্থাপন করলেও শশাঙ্ককে পর্যুদস্ত করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। অবশেষে ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে শশাঙ্ক মারা যান।
(খ) বিক্রমশীল মহাবিহারের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ পালরাজ ধর্মপাল (৭৭০-৮১০ খ্রি.) মগধে (বিহারের ভাগলপুর জেলা) বিক্রমশীল মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেন।
[a] শিক্ষা পরিকাঠামো: বিক্রমশীল মহাবিহার ছিল নালন্দার মতো বিদ্যাচর্চার একটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা ছিল প্রায় তিন হাজার। এই মহাবিহারে ব্যাকরণ, তর্কশাস্ত্র, দর্শন ইত্যাদি পড়ানো হত এবং ভরতির জন্য ছাত্রদের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হত। শিক্ষা শেষ হলে ছাত্রদের উপাধি দেওয়া হত।
[b] অধ্যাপকবৃন্দ: বিক্রমশীল মহাবিহারে বৌদ্ধধর্ম চর্চা ও শিক্ষার জন্য একশোরও বেশি আচার্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন শান্তিপদ, কল্যাণ রক্ষিত, শ্রীধর, অভয়াকর গুপ্ত প্রমুখ। দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান (অতীশ) ছিলেন বিক্রমশীল মহাবিহারের অধ্যক্ষ।
[c] মহাবিহারের ধ্বংসসাধন: ধর্মপালের সময় থেকে পরবর্তী প্রায় ৫০০ বছর বিক্রমশীল মহাবিহার শিক্ষাচর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। লক্ষ্মণসেনের রাজত্বের শেষদিকে বখতিয়ার খলজির নেতৃত্বে তুর্কিরা বাংলা আক্রমণ করে বিক্রমশীল মহাবিহার ধ্বংস করেন।
আরো পড়ুন